তবে এই ভাইরাস মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে মালদহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সমস্ত রকমের পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত বেড থেকে চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। শিশুদের জন্য পিকু, এসএনসিউ বেড তৈরি রয়েছে। জরুরি ভিত্তিক সমস্ত রকম মোকাবিলায় তৈরি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনকি বর্তমানে যে সমস্ত শিশুরা জ্বর সর্দি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে।
advertisement
রাজ্যের বহু হাসপাতালে ইতিমধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শিশুরা ভর্তি। হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে রোজ। এই নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। তবে এখনও পর্যন্ত মালদহ জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসে কোনও শিশু আক্রান্ত নয়। তবে জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু শিশু।
আরও পড়ুন: ক্রমশ পরিস্থিতির অবনতি! রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছুঁই ছুঁই
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী তৎপর মালদহ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। তবে ভর্তি থাকা শিশুর আত্মীয়দের অভিযোগ, গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা তেমন পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা রেফার করে দিচ্ছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে। এদিকে সেখানে ভর্তি করাতে হয়রানি সহ্য করতে হচ্ছে। চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৯ দিনে ৩৮ শিশুর মৃত্যু কলকাতার হাসপাতালে! বাংলাজুড়ে একই হাল, চরম আতঙ্ক চতুর্দিকে
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতালের এমএস ভিপি পুরঞ্জয় সাহা বলেন, ''জ্বর, সর্দি, কাশি উপসর্গ নিয়ে অনেকেই বিশেষ করে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তে কোনও শিশু ভর্তি নেই। স্বাস্থ্য দফতরের যা নির্দেশিকা রয়েছে সেই নির্দেশিকা মেনেই আমরা সবকিছু করছি।''
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন শিশু জ্বর, সর্দির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। জ্বর, সর্দির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন শিশুদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করা হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে। তবে এখনও পর্যন্ত জেলায় এডিনো ভাইরাসের আক্রান্ত কোনও রোগীর হদিস পাওয়া যায়নি।
হরষিত সিংহ