স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাসের সাহায্য নিয়ে প্রাক্তনীরা উচ্চ মাধ্যমিক দেওয়ার পড় পাড়ার ভাই বোনদের পড়াচ্ছে। কেউ আমবাগানের নীচে, কেউ পাড়ার ক্লাবঘরে আবার কেউ নিজের বাড়ির উঠোনে পড়াচ্ছে খুদেদের নিয়ম করে। শোভানগর হাইস্কুলের কয়েকজন পার্শ্বশিক্ষকও পড়াচ্ছেন পিছিয়ে পড়া কচিকাঁচাদের।উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে বাড়িতেই বসে রয়েছে পরীক্ষার্থীরা। শোভানগর হাই স্কুলের এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সময় নষ্ট না করে কিছু করার তাগিদে পাড়ার খুদেদের পড়ানো শুরু করেন। প্রত্যেক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী তাঁদের বাড়ির আশেপাশের পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ভাই বোনদের পড়াচ্ছে। চার দেওয়ালের মাঝে ক্লাসরুমে নয়, খোলামেলা পরিবেশে খেলার ছলে, নাচ গান ও আঁকা শেখানোর মধ্যে দিয়ে ভাই বোনদের নিয়মিত পড়াচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিত আইসক্রিমে মন মজেছে আট থেকে আশির
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকে শোভানগর হাই স্কুল। শোভানগর ছাড়াও ভবানীপুর, মাদিয়া, মোহনপুর পীরপুর-সহ আশেপাশের গ্রামের পড়ুয়ারা স্কুলে পড়াশোনা করে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় এই অঞ্চলের অনেক খুদে পড়ুয়ায় পিছিয়ে পড়েছে। এই ছুটির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস শোভানগর হাই স্কুলের প্রাক্তনীদের। বিনা পারিশ্রমিকে সকাল-বিকেল খুদেদের পড়ানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কম জলেই চাষ, রাজ্যের এই জেলায় স্ট্রবেরি চাষ ঘিরে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা
শোভানগর স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত পড়ুয়া ক্লাস ফাইভে ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই পড়াশোনার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এই পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের শেখানোর উদ্যোগ স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বছর যাঁরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে দিয়েই খুদেদের পড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল প্রথমেই স্কুল কর্তৃপক্ষ। এখন নিয়মিত শোভানগর-সহ আশেপাশের গ্রামগুলিতে চলছে এমন পাঠ দান পর্ব। তবে আগামীতে এই পরিকল্পনা নিয়মিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিস্বামী দাস।
(প্রতিবেদন- হরষিত সিংহ)