তবে বর্তমানে মালদহের গ্রামীণ এলাকার এই খাবার শহরেও প্রভাব বিস্তার করতে শুরু হয়েছে। বর্তমানে মালদহ শহরের একাধিক রাস্তার মোড় থেকে জেলার প্রশাসনিক ভবন চত্বরের রাস্তার পাশে পাওয়া যায় কলাইয়ের রুটি। শুধু মাত্র শীতের মরশুম নয়, বর্তমানে মালদহ শহরে গোটা বছর বিক্রি হচ্ছে হাতে তৈরি কলাইয়ের রুটি।
আরও পড়ুনঃ শত শত বছর পরেও রয়েছে 'এই' গাছ! আজও হয় পুজো, মাহাত্ম্য জানলে চমকে যাবেন
advertisement
সাধারণ গমের আটার রুটির থেকে এই রুটি অনেক মোটা। তাই একটি বা দুটি খেলেই পেট ভরে যায়। সেঁকা দেওয়া রুটির সঙ্গে ধনেপাতা চাটনি বা বেগুন পোড়া সাধারণত দেওয়া হয়। এই ভাবেই এই রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। বহু মানুষ এই রুটি এখন খাচ্ছেন। কারণ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন উপকারী। কারণ উনুনে সেঁকে তৈরি করা হয়।
কলাই ও চাল মিশিয়ে আটা তৈরি করা হয়। সেই আটা জল দিয়ে দলা তৈরি করা হয় সাধারণ রুটির তৈরির মত। তবে বেলনায় রুটি তৈরি করা হয় না। মহিলারা আটার দলা হাতে নিয়ে চেপে চেপে গোল রুটি তৈরি করেন। যদিও সকলে হাতে তৈরি করতে পারেন না। কারিগরেরা জানান, হাতের তৈরি রুটির টেস্ট বেশি হয়। তাই তাঁরা হাতেই তৈরি করেন। মালদহ শহরে বাজারে ২০ টাকা পিস করে বিক্রি হয় একটি রুটি। এক সময় গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের মূলত শহরে বিভিন্ন কাজে এসে এই রুটি কিনে খেতেন।
আরও পড়ুনঃ পর পর দু'বার হেলায় হারিয়েছেন ক্যানসারকে, ঐন্দ্রিলার যুদ্ধ জয়ের একাধিক নজির
তবে বর্তমানে শহরের অনেকেই নিয়মিত এই রুটি খাচ্ছেন। বছরের অন্যান্য সময়ে বিক্রি কম হলেও শীতের মরশুমে চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। শুধু মাত্র মালদহ শহর নয়, জেলার বিভিন্ন ব্লকেও এখন বাজার গুলিতে কলাইয়ের রুটি বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিগত কয়েক বছর বাড়িতে তৈরি করেই খাওয়া হতো এই রুটি। বাজারে দেশি বিদেশি হরেক রকম আধুনিক খাবারে চেয়ে গিয়েছে। চাইনিজ খাবার থেকে দক্ষিণী খাবারের চাহিদা বাড়ছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। তবে পিছিয়ে নেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার।
বাংলার খাবারও এখন বিক্রি হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে। ঝাঁ চকচকে রেস্টুরেন্টে বিক্রি না হলেও ফুটপাতে দেদার বিক্রি হচ্ছে বাংলার কলাইয়ের রুটি।
হরষিত সিংহ