এই সমস্যা বহুদিন ধরে চলে আসছে। ভোট আসলেই নেতারা জলের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ভোট পেয়ে যাচ্ছে।।পুর নাগরিকরা বলছেন পঞ্চায়েত এলাকায় জলের এত কষ্ট নেই। যেখানে আমাদের পুরসভায় এই এলাকায় জলের কষ্ট। জল না থাকায় জল কিনে খেতে হয়। টিউবয়েলের জলে রয়েছে আইরন। সেই জল খেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকেই। গরম , শীত সারা বছরই তাদের এই কষ্ট। এই ছবি ইংরেজবাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কুলিপাড়া এলাকায়। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।
advertisement
মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কুলিপাড়ায় পুরসভার পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলপরী সেবা প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পুরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই নব নির্মিত আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলপরিসেবা পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও এই আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত এই এলাকা। এলাকায় নেই কোনও ট্যাপ কল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পাঁচ বছর আগে ট্যাপ লাইনের পাইপ বসে গেল অথচ জল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছায়নি। এলাকার মহিলারা পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী জানান, এলাকার মানুষদেরকে এখনও জল কিনে খেতে হয়। টিউবওয়েলের জল খাওয়া যায় না । যাদের পয়সা আছে তারা কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা দিয়ে জলের জার কিনে খায়। আর যারা কিনতে পায় না তাদের টিউবওয়েলের জলই খেতে হয়। সেই জলে প্রচুর আয়রন থাকে।
আরও পড়ুন: ফলন ৫০ শতাংশ কম, এবছর লিচুর দাম হতে পারে ধরা ছোঁয়ার বাইরে
আজকে পঞ্চায়েত এলাকায় জলের লাইন প্রতিটা বাড়িতে রয়েছে। কিন্তু আমরা পৌরসভার নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও জল পাচ্ছি না। পঞ্চায়েত এলাকার থেকেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে আমাদের ইংরেজবাজার পৌরসভা।ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুলি পাড়া এলাকা প্রায় ৩০০ পরিবার বসবাস করে। পুরনাগরিক লোচমী সাহানি জানান, প্রতিবারই ভোটের সময় নেতারা এসে জলের সমস্যা মিটে যাবে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন, কিন্তু ভোট পেরিয়ে গেলে তাদের আর দেখা যায় না। ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জলের সমস্যা খুব শীঘ্রই মিটে যাবে। ইতিমধ্যেই নতুন পাইপলাইন বসানো হয়েছে। আশা করা যায় পুজোর আগেই ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে জলের সমস্যা সমাধান মিটে যাবে।
হরষিত সিংহ