আরও পড়ুন Murshidabad News: রক্তের সঙ্কটের মাঝেই হাসপাতালের বাইরে পড়ে আছে রক্তের প্যাকেট!
পালবংশের রাজা তৃতীয় বিগ্রহপালের পুত্র রামপাল তাঁর নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত রাজধানী রামাবতীতে নিজের রাজধানী স্থানান্তরিত করেন।পরবর্তী শাসক লক্ষ্মণসেন রামাবতী থেকে দক্ষিণে রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যান।নিজের নামানুসারে তার নাম দেন লক্ষ্মণাবতী বা লখনৌতি।এই রাজধানীই পরবর্তী সময়ের গৌড়।এই গৌড়ের নগরদদূর্গের চারদিকের রক্ষাকর্ত্রী চারজন দেবীর চারটি মন্দির বা পীঠ ছিল। তাদের মধ্যে উত্তরদিকের মাধাইচণ্ডীর পীঠ গঙ্গাগর্ভে বিলীন-পূর্বদিকে জহুরাচণ্ডী, পশ্চিমে দুয়ারবাসিনী ও দক্ষিণে পাতালচণ্ডী। সবগুলিরই প্রতিষ্ঠাকাল মোটামুটিভাবে ১১৭৯ থেকে ১২০৭ খ্রিস্টাব্দ।
advertisement
আরও পড়ুন Birbhum News: কৌশিকী অমাবস্যায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভিড় হল না তারাপীঠে, কারণ কী?
প্রয়াত ঐতিহাসিক তুষারকান্তি ঘোষের বইতে আছে, ১৯২০ র প্রথম দিকে লর্ড কার্জনের ভারতভ্রমণের যে ম্যাপ তৈরি হয়েছিল,তাতে উল্লেখযোগ্য স্থান হিসাবে পাটলচণ্ডী বা পাতালচণ্ডীর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে পাতাল চণ্ডী মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে। মন্দিরের পাশ দিয়ে এক সময় নদী বয়ে গিয়েছে তার প্রমাণ হিসাবে এখনও জাহাজ বাঁধার নোঙর রয়েছে। প্রাচীন পাথর দিয়ে ঘাট বাঁধানো রয়েছে। এখন পাতাল চণ্ডী বিগ্রহ ছাড়াও পাতালচণ্ডী কালি মন্দির রয়েছে। বাসন্তী মন্দির রয়েছে। প্রতিবছর বাসন্তী পুজো উপলক্ষে বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় এই মন্দিরে।
হরষিত সিংহ