ক্রমশ পিলারের ফাটলের অংশ বৃদ্ধি পেতে থাকায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর সংস্কার না হওয়ার কারণেই এই বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন বিভিন্ন যানবাহন চালক সংগঠন এবং পুরাতন মালদহ ব্লকের বেহুলা গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: চিনু শাঁখারির বাড়িতে গদাধর বিদ্যামন্দির! পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের দেওয়া হবে পোশাক, খাবার
advertisement
এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বেহুলা সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন বিভিন্ন যানবাহন সংগঠন এবং স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ সাহা বলেন, “ব্রিজের পিলারের ফাটল দেখা দেওয়াই আমরা আতঙ্কিত। সংশ্লিষ্ট দফতরে আমরা আবেদন জানিয়েছি ব্রিজ সংস্কারের জন্য। যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই ব্রিজে।”
আরও পড়ুন: পুজোয় আলিপুরদুয়ার যাবেন? কোথায় ঘুরবেন, থাকবেন, গাইড বুক প্রকাশ করল জেলা প্রশাসন
পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি পঞ্চায়েতের বেহুলা নদীর উপর সেতুটি রয়েছে। একসময় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ছিল এই সেতুটি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এ সেতু নির্মাণ করে। বর্তমানে বাইপাস রাস্তা তৈরি হওয়ায় এই সেতুটি জাতীয় সড়কের অধীনে আর পড়ছে না। এখন এটি পূর্ত দফতরের অধীনে রয়েছে। প্রায় ৮০ মিটার লম্বা এই সেতুটি বহু পুরনো। এখান দিয়েই বয়ে গিয়েছে মহানন্দার শাখা নদী হিসাবে পরিচিত বেহুলা নদী। প্রতিদিনই এই সেতু দিয়ে কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। পণ্যবাহী লরি থেকে সরকারি বেসরকারি বাস সহ আরও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চাপে এই বেহুলা সেতুটি ধীরে ধীরে বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
ফলে মালদহের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের প্রয়োজন বলে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সেতুটির পিলারের তিনটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জাতীয় সড়ক না হলেও এখনও এ সেতুর গুরুত্ব রয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র মঙ্গলবাড়ি যাওয়ার রাস্তায় এটিই। এখনও এই সেতুর ওপর দিয়ে নিয়মিত প্রচুর সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। তাই যেকোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ মণ্ডল বলেন, “দীর্ঘদিনের পুরনো এই সেতু। প্রায় ১ বছর আগে সংস্কার হয়েছিল। গত কিছুদিন ধরেই ফাটল দেখা দিচ্ছে ব্রিজে। এখন ফাটল আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে আমরা সংস্কারের দাবি তুলছি।”
হরষিত সিংহ