জেলার তিনটি ব্লকে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে গঙ্গার ভাঙন সমস্যা। প্রতিবছর নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারাচ্ছে বহু পরিবার। অভিযোগ, ভাঙন সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করলেও সেভাবে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে না প্রশাসন। এমনকি গঙ্গা ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপুরণ সহ চরের জমির অনলাইন রেকর্ড নিয়েও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদের পাশাপাশি নদী ভাঙন প্রতিরোধে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধ অ্যাকশন নাগরিক কমিটির তরফে পদযাত্রা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: নাম শিল্পগ্রাম, সেখানেই বসেছে নাট্যমেলার আসর
বুধবার দুপুরে মানিকচকের ভূতনির গঙ্গাধরটোলা এলাকা থেকে পদযাত্রার সূচনা হয়। ভূতনি থেকে শুরু হয়ে এই পদযাত্রা তিনটি ব্লকের বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকায় পৌঁছবে। মানিকচক, কালিয়াচক ২ ও ৩ নম্বর ব্লকের একাধিক ভাঙনকবলিত এলাকায় পথসভা করা হবে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এই পদযাত্রা।
গত বর্ষায় মানিকচকের ভূতনি কালটন টোলা ও কেশবপুর এলাকা, বীরনগর এবং মুর্শিদাবাদ এলাকায় ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল নদী ভাঙন সমস্যা। গঙ্গার গ্রাসে তলিয়ে যায় বহু বসত বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাহায্য বা ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। পদযাত্রা প্রসঙ্গে নাগরিক কমিটির সম্পাদক খিদির বক্স বলেন, প্রতিবছর গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি হারাচ্ছে বহু মানুষ। কিন্তু প্রশাসনের তরফ থেকে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে আমাদের এই বৃহত্তর ঐতিহাসিক পদযাত্রা। পদযাত্রার পরও আমাদের দাবি না মানা হলে আগামীতে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
হরষিত সিংহ