আরও পড়ুন: কুলপি রোডের বেহাল দশা, পুজোর আগে তড়িঘড়ি মেরামত
আসলে বাকি মৃৎশিল্পীদের থেকে মিঠুন শীলের গোটা গল্পটাই আলাদা। তিনি মৃৎশিল্পী হবেন এমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না। বরং মা দুর্গার পুজো করবেন বলেই তাঁর মৃৎশিল্পী হয়ে ওঠা। কারণ সকলেই জানেন দুর্গা পুজোর খরচ অনেক। সেই অর্থ জোগাড়ের তাগিদেই একসময় প্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করতে শুরু করেন পুরাতন মালদহের নজরপুরের মিঠুন শীল।
advertisement
কীভাবে তিনি মৃৎশিল্পী হলেন সেই কাহিনী শোনাতে গিয়ে মিঠুন জানান, তাঁর ছয় বছর বয়সে একদিন মহানন্দা নদীতে স্নান করতে গিয়ে একটি ত্রিশূল পান। সেটা বাড়ি নিয়ে আসেন। এর তিনদিন পর স্বপ্নাদেশে মা দুর্গার মুখ দেখতে পেয়েছিলেন। তারপরেই দুর্গাপুজো করবেন ঠিক করেন। কিন্তু ছোটবেলায় পরিবারের আর্থিক অনটন থাকায় পুতুলকে মা দুর্গা সাজিয়ে নিজেই পুজো করতেন। এখন অবশ্য তিনি নিজের হাতে মায়ের প্রতিমা গড়েন। তারপর নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে পুরোহিত তাঁর বাড়িতে পুজো করেন। মা দুর্গার পুজো করবেন বলে বাড়িতেই ঠাকুরদালান ও মন্দির তৈরি করেছেন মিঠুন। সেখানেই দুর্গাপুজো হয়।
চলতি বছর বাড়ির দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও আরও পাঁচটি প্রতিমা বানিয়েছেন মিঠুন, যার সবকটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এলাকায় তাঁদের বাড়ি পুজো বাড়ি নামে পরিচিত। দুর্গাপুজোর সময় মিঠুনের বাড়ির পুজো দেখতে এলাকার বহু মানুষ আসেন।
হরষিত সিংহ