প্রতি সপ্তাহে মালদহ জেলার বিভিন্ন আমবাগান থেকে কয়েক মেট্রিক টন পচা আম ভিন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। মূলত উত্তরপ্রদেশ দিল্লি মধ্যপ্রদেশ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে এ আম পাঠানো হয়। ব্যবসায়ী আইনূল মমিন বলেন, আমরা কাঁচা আম কিনে নেই। যে সমস্ত আম পাকবে না সেগুলি মূলত কেনা হয়। কুচকুচি করে কেটে লবণ দিয়ে আম পচানো হয়। চৌবাচ্চায় লবণ দিয়ে প্রায় ৭ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত রাখা হয়। তারপর সেগুলি ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন:
আসলে আমের আচার তৈরীর আগে প্রথমে আমকে লবণ দিয়ে পচানো হয়। এই নিয়মেই বিভিন্ন রকমের আচার তৈরি করে থাকে কোম্পানিগুলি। মালদহ থেকে মূলত কাঁচামাল বিভিন্ন রাজ্যে পাড়িদেয়। কারণ এই জেলাতেই দেশের সবথেকে বেশি আমের ফলন হয়। এখানকার বিক্রেতারা আম বাগানের মধ্যেই অস্থায়ী চৌবাচ্চা করে আমকে পচিয়ে তারপর সেগুলি পাঠান। এতে আচার কোম্পানিগুলির অনেক সুবিধা হয়। দ্রুত আচার তৈরি করতে। চলতি মরশুমে আমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাই এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা দাম কম। বর্তমানে ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি হচ্ছে পচা আম।
আরও পড়ুন: সফ্ট আইসক্রিম কীভাবে তৈরি হয়? হুহু করে বিকোচ্ছে! জানুন
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা আম চাষী ও গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া আম কিনে নেন। কাঁচা অবস্থাতেই মূলত এ আম কেনা হয়। কারণ পাকা আমের আচার হয় না। কাঁচা আম কিনে সেগুলিকে কুচি কুচি করে কাটা হয়। তারপর অস্থায়ী চৌবাচ্চায় লবণের সঙ্গে মিশ্রণ করে রাখা হয়। ব্যবসায়ী ফিরোজ মিজ্ঞা বলেন, লবণ দিয়ে পচানো আম সবগুলোই ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আচার কোম্পানিগুলিতে এই আম যায়। আমরা এখান থেকে সেগুলি পাঠাই। ভিন রাজ্যে পাঠানোর দাম অনেকটা কম মিলছে। আমাদের রাজ্যে বা জেলায় যদি এ ধরনের আমের আচার কোম্পানি খোলা হয় তাহলে আমাদের আরো অনেক লাভ হবে।
হরষিত সিংহ