প্রতিবছর মালদহ থেকে কয়েক মেট্রিক টন টিট বিট যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আচার কোম্পানিতে। কাঁচা আমের টিট বিট তৈরি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন মালদহ জেলার আম চাষীরা। মূলত ঝড়ে পড়া কাঁচা আমের টিট বিট তৈরি করেন জেলার আমচাষীদের একাংশ। এছাড়াও আশ্বিনা প্রজাতির আম থেকে মূলত টিট বিট তৈরি করেন কৃষকেরা। কারণ আশ্বিনা প্রজাতির পাকা আমের চাহিদা থাকেনা।
advertisement
আশ্বিনা আম আচার তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। কাঁচা আম কেটে লবণ দিয়ে সাত থেকে দশ দিন পর্যন্ত রাখা হয় অস্থায়ী চৌবাচ্চায়। লবণের মিশ্রণে আম পচে তৈরি হচ্ছে টিট বিট।চলতি মরশুমে একাধিক বার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে ঝড়ে পড়েছে আম। আমের ফলনে ক্ষতি হয়েছে।তবে ঝড়ে পড়া আম থেকে টিট বিট তৈরি করায় কিছুটা হলেও লোকসান সামাল দিতে পেরেছেন কৃষকেরা। বাগানের ঝড়ে পড়া আর চার থেকে পাঁচ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।সেই আম কেটে লবণ দিয়ে চৌবাচ্চায় সাত থেকে দশ দিন রাখা হয়। তারপর তৈরি হয় টিট বিট। সেগুলি কৃষকেরা এক থেকে দেড় হাজার ক্যুইন্ট্যাল দরে বিক্রি করেন ব্যাসায়িদের কাছে।
আরও পড়ুন - ডিজেলের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় বাড়েনি পরিবহণের ভাড়া, কী বলছেন বাস মালিকেরা?
আরও পড়ুন -জাতীয় বডি বিল্ডিং প্রতিযোগিতায় সাফল্য মালদহের যুবকের! এবার সুযোগ আন্তর্জাতিক স্তরে
মালদহ জেলার ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে সেই টিট বিট দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আচার ফ্যাক্টারিতে পাঠানো হয়।গত মরশুমে মালদহ জেলা থেকে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন আমের টিট বিট ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। মালদহের এই কাঁচা আমের টিট বিট আচারের জন্য মহারাষ্ট্র, গুজরাট রাজ্যে বেশি যায়। চলতি মরশুমে পাঠানো শুরু হয়েছে টিট বিট।মালদহ জেলার প্রায় প্রতিটি আম বাগানে এখন কাঁচা আম কাটার হিড়িক পড়েছে।মূলত গ্রামীণ এলাকার মহিলারা আম কাটার কাজ করছেন। ঝড়ে পড়া আম বিভিন্ন দিক থেকে কিনে আনেন। বাগানের মধ্যে মাটি খুঁড়ে তৈরি করা হয় বড় বড় চৌবাচ্চা।কিছু কিছু চৌবাচ্চা স্থায়ী।সেগুলিতে আম কেটে লবণ দিয়ে রাখা হয়।
হরষিত সিংহ