দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। যদিও শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে দেহ ছিনিয়ে নিয়ে যায় পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসেও দেহ আটকাতে পারেনি। বহিরাগত এক ব্যাক্তির উস্কানিতে এমন ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। যদিও অভিযুক্ত, সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন Murshidabad Shoot Out: বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন! বহরমপুরে ধুন্ধুমার
advertisement
সোমবার সকালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবকের নাম মিঠুন মণ্ডল (২২)। বাবা ভরত মণ্ডলের বাড়ি পুরাতন মালদহের চর কাদিরপুর গ্রামে। রবিবার রাতে মিঠুন মণ্ডল ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে তাকে সাপ কামড় দেয়। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকেরা তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করতে থাকেন যে সঠিক চিকিৎসা হয়নি। তবে সোমবার সকালে সর্পপ্রেমী নিতাই হালদার ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল চত্বরে ছুটে আসে। পরিবারের লোকেদের দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকে বলে অভিযোগ।
তারপর থেকেই দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিবাদ বাধায় পরিবারের লোকেরা। ওঝার কাছে নিয়ে গিয়ে ঝাঁড়ফুক করলে সুস্থ হয়ে উঠবে এই বিশ্বাসেই দেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর দেহ হাসপাতাল থেকে ছাড়ার নিয়ম রয়েছে। তাই কতৃপক্ষ দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেয়। এমনকি ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানায় কতৃপক্ষ। দেহ না ছাড়ায় শুরু হয় বিবাদ। মৃতের পরিবারের লোকেরা গ্রামের লোকেদের হাসপাতালে ঢেকে নিয়ে এসে জোর করে দেহ নিয়ে চলে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মেডিক্যাল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। দেহটি বাড়ি নিয়ে গিয়ে ওঝার ডেকে ঝাঁড়ফুক শুরু করে পরিবারের লোকেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহটি তুলে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হরষিত সিংহ