পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত মহিলার নাম কাজল ঘোষ (২৫), মৃত মেয়ের নাম প্রীতিকা ঘোষ (৯)। গত আট বছর আগে স্বামী দীনেশ ঘোষ দুর্ঘটনায় মারা যান। কাজল ঘোষ এর শ্বশুর বাড়ি ছিল পুরাতন মালদহের নারায়ণপুর এলাকায়। স্বামী মারা যাবার পর কাজল ঘোষ কোলের মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার ভবানীপুরে চলে আসে। বাবা গৌর ঘোষ পেশায় দিনমজুর। স্বামী মারা যাবার পর কাজল ঘোষ বেশ কিছু টাকা পেয়েছিলেন। কয়েক বছর সেই টাকাতেই সংসার চলছিল। সেই টাকা শেষ হতেই বাবার বাড়ির অভাবী সংসারে দিন যাপন করতে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল মহিলাকে। কোলের মেয়ের পড়াশোনা ভরণপোষণ সমস্ত কিছুই সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। পরিবারে লোকেদের অভিযোগ তার জেরে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা। সোমবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মেয়েকে নিয়ে। পরিবারের লোকেরা কিছুই জানতেন না। সকালে পরিবারের লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। দুপুর নাগাদ পুলিশ মারফত খবর পায় কালিয়াচক সুলতানগঞ্জ এলাকায় রেললাইনের ধারে দু'টি দেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে ছুটে গিয়ে মা ও মেয়ের দেহ দুটি শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা।
advertisement
পরিবারের লোকেদের দাবি, মানসিক অবসাদের জেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন ওই মহিলা। তারজেরে মৃত্যু হয়েছে। মৃতার এক আত্মীয় অখিল ঘোষ বলেন, আর্থিক অনটনের জেরে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। বাবা দিনমজুর। স্বামী মারা যাবার পর সেখানেই থাকতো। টাকা পয়সা না থাকায় সংসার চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। সোমবার রাতে হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মঙ্গলবার আমরা পুলিশের মারফত জানতে পারি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।যদিও পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
হরষিত সিংহ