চব্বিশ ঘণ্টা কাজের জন্য শিফটের ব্যবস্থা রয়েছে। এতকিছু তৈরির পরেও মালদহ আইটি পার্কে আসছে না কোন কোম্পানী। পাঁচ বছর ধরে হাতে গোনা জেলার কয়েকটি ছোট বড় সংস্থা এখানে কাজের জন্য জায়গা নিয়েছে। তাদের নিয়েই চলছে মালদহ আইটি পার্ক। মালদহ কেন্দ্রের বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, “রাজ্য সরকার ভবন নির্মাণ করে দিয়েছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা করেনি। এখানে চল্লিশটি কোম্পানি আসার কথা সেই তুলনায় কোম্পানি আসেনি। জেলার বেকার যুবক যুবতীদের কোন কর্মসংস্থান হয়নি।”
advertisement
আরও পড়ুন: আর বাড়ি ফেরা হল না পশু চিকিৎসকের! টোটোর ধাক্কায় রাস্তার মাঝেই সব শেষ
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুরাতন মালদহের নলডুবি এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে তৈরি করা হয়েছিল আইটি পার্কটি। ২০১৮ সালের ১৩ই অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি আইটি পার্কের উদ্বোধন করেন। এতে জেলার শিক্ষিত যুব সমাজ স্বপ্ন দেখেছিল এবার হয়তো কর্মসংস্থানের সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে। হয়তো জেলায় কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু মাঝে অতিক্রান্ত হয়েছে পাঁচ বছর। রয়েছে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ঝা চকচকে বিল্ডিং। রয়েছে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো। রয়েছে নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, রয়েছে নাইট শিফটে কাজ করার সুযোগ, রয়েছে ২৪ ঘন্টা পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ৩৩ বছরের পুজো এবার বন্ধের মুখে! মন খারাপ এলাকাবাসীর
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে আইটি পার্ক খোলা হয়েছিল এখনও তার সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। বিনিয়োগের অভাবে ধুঁকছে মালদহ জেলার আইটি পার্ক। মালদহ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, “জেলায় জেলায় কর্মসংস্থানের উদ্যোগে রাজ্য সরকার আইটি পার্ক তৈরি করেছে। আমাদের জেলার আইটি পার্ক বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে। আমরা চাই আরও বড় বড় কোম্পানি এখানে আসুক কাজ করুক।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে একই ছাদের তলায় ৪০টি কোম্পানির কাজ করার মত পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে মাত্র ২০ টি কোম্পানি। প্রত্যেকটি ছোট ছোট কোম্পানি। ২০ টি কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছে মোট ১৫০ জন কর্মী। ফলতো স্বাভাবিকভাবেই জেলায় কর্মসংস্থানের বেহাল দশার হাল ফেরাতে পারেনি আইটি পার্ক। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন মালদহ আইটি পার্কে বড় কোনও কোম্পানি আসছে না। কেন বড় কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা বিনিয়োগ করছে না।
রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগ নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জাতীয় সড়কের পাশে আইটি পার্ক তৈরি হল আশেপাশের পরিবেশ এখনও তেমন উন্নত হয়নি। আইটি পার্ক থাকলেও এখানে নেই বাস স্টপেজ। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যা হলেই অন্ধকার নেমে আসে গোটা আইটি পার্ক চত্বরে। আশেপাশের পরিবেশের উন্নতি দাবি তুলেছেন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক।
আইটি পার্কের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জয়রাজ ত্রিবেদী বলেন, “এখানে বিভিন্ন কোম্পানি এসে কাজ করতে পারবে। সমস্ত রকম পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। অনলাইনে বুকিং করতে পারবেন কোম্পানিগুলি সেই ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে কুড়িটি কোম্পানি কাজ করছে। আইটি পার্কের সমস্ত ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। তবে আইটি পার্কের সামনে কোনও বাস স্ট্যান্ড নেই আশেপাশে আলোর ব্যবস্থা নেই।”
হরষিত সিংহ