পাল পরিবারের বর্তমান অভিভাবক জ্যোতির্ময় পাল জহুরা চন্ডীর বিগ্রহ তৈরি করছেন। পূর্বপুরুষের নিয়ম মেনেই বর্তমান বাড়ির বড় ছেলে বিগ্রহ তৈরি করছেন। তিনি বারোতম উত্তরসূরি। তাঁর ছেলে বাবাই পাল তেরোতম উত্তরসূরি হয়ে বিগ্রহ তৈরিতে এখন থেকেই বাবাকে সাহায্য করেন।
আরও পড়ুন: রিং বাঁধের গাছ কেটে নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা! বর্ষায় বন্যার আতঙ্কে স্থানীয়রা
advertisement
প্রাচীন কাল থেকেই মালদহের ইংরেজ বাজারের জহুরা তলায় পূজিত হন মা জহুরা চণ্ডী। জহুরা চণ্ডীর নামেই গ্রামের নাম হয়েছে জহুরা তলা। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের সেন বংশের আমলে তৈরি হয়েছিল এই জহুরা চন্ডী মন্দির। সেন বংশের কুলদেবী ছিলেন জহুরা চণ্ডী। এই দেবী ছাড়াও আরও তিন চন্ডী মন্দির তৈরি হয়েছিল সেন আমলে। সে গুলিরও বর্তমানে মালদায় রয়েছে।
প্রাচীনকাল থেকেই বৈশাখ মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পূজিত হন দেবী জহুরা চন্ডী। সেই নিয়ম আজও অব্যাহত। বৈশাখ মাসের প্রথম শনিবার বা মঙ্গলবার প্রথম জহুরা চণ্ডীর পুজো শুরু হয়। এবছর শনিবার মাসের প্রথম। তাই এদিন থেকেই শুরু হয়েছে দেবীর পুজো।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প পথশ্রী! কেমন এই প্রকল্প? দেখে নিন
রীতি মেনে পুজোর দিন সকালে বিগ্রহ রং করা হয়। মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে পায়ে হেঁটে শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় কাপড় ঢাকা বিগ্রহ। পথে প্রথমে মন্দিরের পুরোহিতের বাড়িতে পুজো হয়। তারপর মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করে শুরু হয় পুজো। প্রথম দিনই জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে দেবীর পুজোর দেখতে। পুজো কে কেন্দ্র করে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার একমাস ব্যাপী বিরাট মেলা অনুষ্ঠিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।
হরষিত সিংহ





