এই বিদ্যালয়ে তৎকালীন শিক্ষকতার দায়িত্বে থাকা গ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র মাহাতো জানান, “মহাশ্বেতা দেবীর প্রত্যক্ষ উদ্যোগ ও অনুপ্রেরণায় বিদ্যালয়টির পথচলা শুরু হয়েছিল। প্রথম দিন থেকেই আমি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে এসেছি। প্রায় ১৫ বছর ধরে বিদ্যালয়টি সঠিকভাবে চলেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে শবর সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিলে। একসময় বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।”
advertisement
বর্তমানে এই বিদ্যালয়টি খোলার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন স্থানীয় হুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্দীপ সিং সর্দার। তিনি জানান, মতিপুর গ্রামে বসবাসকারী শবর জনজাতির মানুষদের সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পেরেছি, এখনও সেখানে এক-দুজন শিক্ষিত মানুষ রয়েছেন। তাদের হাত ধরেই এলাকার শিশুদের জীবনে আবার শিক্ষার আলো ফিরিয়ে আনতে চান তিনি। সন্দীপ সিং সর্দার আরও বলেন, “মহাশ্বেতা দেবীর উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই বিদ্যালয় থেকেই আবার শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক, এটাই আমার স্বপ্ন। বিদ্যালয়টি সংস্কার ও পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আমি সর্বতোভাবে পাশে থাকব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের শবর জনজাতির মানুষজনেরাও চান মহাশ্বেতা দেবীর শুরু করা এই ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি আবার প্রাণ ফিরে পাক এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুক।





