মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা বলেন, ম্যাঙ্গো হপার এক ধরণের ক্ষতিকর পতঙ্গ। আমের শাখায় থাকে। মুকুল কুড়ি অবস্থায় থাকা অবস্থায় মুকুলে হামলা করে। এই পতঙ্গ তাদের লালা কুড়ি অবস্থায় থাকা মুকুলে দিয়ে দেয়। তার থেকে এক ধরনের ছত্রাক জন্ম নেয় মুকুলে। তার ফলে মুকুল না ফুটে কালো হয়ে যায়। একেবারেই মুকুল ফোটেনা। তাই এই পতঙ্গ মারা অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
আরও পড়ুন: কোভিড বাড়লে কী হবে? বহরমপুর মাতৃ সদনে মকড্রিল স্বাস্থ্য দফতরের
মালদহে সাধারণ জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে আমের মুকুল ফোঁটা শুরু হয়। ফেব্রুয়ারি মাসে মাঝামাঝি সময়ে সমস্ত প্রজাতির গাছে মুকুল চলে আসে। আমের মুকুল ফোটার এক মাস আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা প্রয়োজন। তাই এখন থেকেই মালদহ জেলার আম চাষিরা শুরু করেছেন গাছের পরিচর্যা। কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে আম গাছে। জেলা উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে মোট ৩১ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের গুম্বাদারায় কখনও গিয়েছেন? এবারের ছুটিতে হতে পারে আপনার স্বপ্নের ডেস্টিনেশন!
গত বছর আমের ফলন হয়েছিল ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ২২৮ মেট্রিক টন। স্বাভাবিক ফলনের থেকে অনেক কম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় গত বছর আমের ফলনে মার খেয়েছে। এই বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল রয়েছে। তবে এখন তাপমাত্রা আরো কম হলে আমের মুকুল ফোটার ক্ষেত্রে ভালো। বাগান গুলিতে গাছে শাখা মুকুল ফোটার অবস্থায় রয়েছে।জানাচ্ছেন উদ্যান পালন দফতরের কর্তারা। তাই তাঁর আশাবাদী এই বছর ভালো মুকুল আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সমস্তটাই নির্ভর করছে জেলার আবহাওয়া উপর।
হর্ষিত সিংহ