নবম শতাব্দীর পাল যুগের বৌদ্ধবিহারের সাম্রাজ্য আবিষ্কার হয়েছিল মালদহের হবিবপর ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের জগজীবনপুর গ্রামে। ১৯৮৭ সালে এলাকাটিকে সংরক্ষিত করা হয়। খননকার্য চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রাচীন নানান নিদর্শন। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় চলে খনন কাজ। উদ্ধার পুঁথি থেকে বিভিন্ন সামগ্রী থেকে জানা যায়নবম শতাব্দীর পাল যুগের তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র পাল , দেব পাল,ধর্ম পাল নিজেদের রাজত্ব থাকাকালীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সেই প্রাচীন নিদর্শন কেন্দ্রটি দান করে গিয়েছিলেন রাজা মহেন্দ্র পাল। সেই থেকেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠ হিসাবে উল্লেখিত রয়েছে মালদহের জগজীবনপুর। যদিও ইতিহাসের পাতায় এবিষয়ে কোন উল্লেখ নেই।বর্তমান সময়ে জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহার নিদর্শন কেন্দ্রটি উদ্ধার হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দলছুট হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট হাতির ছানা! কালচিনিতে হস্তিশাবকের সঙ্গে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা!
সেখানে আগে আট থেকে নয়টি পরিবার বসবাস করতো। ১৯৮৭ সালে মাটি কাটতে গিয়েই বৌদ্ধদের একটি তাম্রলিপি উদ্ধার হয় । সেই সময় হওয়া ওই তাম্রলিপ্ত পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দেওয়া হয় । জানানো হয় প্রশাসনকে। ধীরে ধীরে পুরাতত্ত্ব বিভাগ জগজীবনপুরের ওই জায়গাটি নিয়ে গবেষনা শুরু করে । ১৯৮৫ সালে শেষের দিকে শুরু হয় খননকার্য । তারপরে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের এই নিদর্শন কেন্দ্র বেরিয়ে আসতে শুরু করে। জগজীবনপুর বৌদ্ধবিহারটি রয়েছে ৫ বিঘার উপর।চারিদিকে রয়েছে চারটি ওয়াচ টাওয়ার।মাঝখানে বিশাল উঠান।চারিদিকে আছে বারান্দা।রয়েছে একটা বিশালাকায় কুয়ো।চারিদিকে রয়েছে থাকার ঘর।সাতটি শৌচালয়।রয়েছে একটি উপাসনা কক্ষ।পাশেই রয়েছে নব নির্মিত মিউজিয়াম।যেখানে রয়েছে পাল যুগের উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। বৌদ্ধবিহার ঘুরে দেখার পর আপনি পাল যুগের ইতিহাসের কিছু স্মৃতিচারণ করতেই পারেন।
হরষিত সিংহ