TRENDING:

Malda News | Durga Puja Travel : পুজোর ছুটিতে ঘোরার নিরিবিলি জায়গা খুঁজছেন? যেতে পারেন মালদহের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার

Last Updated:

Malda News | Durga Puja Travel : বৌদ্ধবিহার। মালদহের এই জায়গায় পুজোর সময় একটা দিন ঘুরতে যেতেই পারেন। মন ভরে যাবে! রইল হদিশ

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মালদহ:  পুজোর ছুটিতে ঘোরার জন্য নিরিবিলি জায়গা খুঁজছেন? তাহলে অবশ্যই ঘুরে যেতে পারেন প্রাচীন বৌদ্ধবিহার। মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের জগজীবনপুুর গ্রামে রয়েছে প্রাচীন বাংলার এই শৌধ বৌদ্ধবিহার। এখানে আপনি দেখতে পাবেন বৌদ্ধবিহারের নানাসামগ্রী, সরকারি উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে একটি সংগ্রহশালা। এই বৌদ্ধবিহার থেকে উদ্ধার বিভিন্ন সামগ্রী রয়েছে এখানে। মালদহ শহর থেকে মাত্র ৪২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই বৌদ্ধবিহারের ধ্বংসাবশেষ।একদিনে ঘুরে আসা যায় এখানে।
advertisement

নবম শতাব্দীর পাল যুগের বৌদ্ধবিহারের সাম্রাজ্য আবিষ্কার হয়েছিল মালদহের হবিবপর ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের জগজীবনপুর গ্রামে। ১৯৮৭ সালে এলাকাটিকে সংরক্ষিত করা হয়। খননকার্য চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ধ্বংস হয়ে যাওয়া প্রাচীন নানান নিদর্শন। পুরাতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় চলে খনন কাজ। উদ্ধার পুঁথি থেকে বিভিন্ন সামগ্রী থেকে জানা যায়নবম শতাব্দীর পাল যুগের তৎকালীন রাজা মহেন্দ্র পাল , দেব পাল,ধর্ম পাল নিজেদের রাজত্ব থাকাকালীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের সেই প্রাচীন নিদর্শন কেন্দ্রটি দান করে গিয়েছিলেন রাজা মহেন্দ্র পাল। সেই থেকেই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মঠ হিসাবে উল্লেখিত রয়েছে মালদহের জগজীবনপুর। যদিও ইতিহাসের পাতায় এবিষয়ে কোন উল্লেখ নেই।বর্তমান সময়ে জগজীবনপুরের বৌদ্ধবিহার নিদর্শন কেন্দ্রটি উদ্ধার হয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন:  দলছুট হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট হাতির ছানা! কালচিনিতে হস্তিশাবকের সঙ্গে ঘটল ভয়াবহ ঘটনা!

সেখানে আগে আট থেকে নয়টি পরিবার বসবাস করতো। ১৯৮৭ সালে মাটি কাটতে গিয়েই বৌদ্ধদের একটি তাম্রলিপি উদ্ধার হয় । সেই সময় হওয়া ওই তাম্রলিপ্ত পুরাতত্ত্ব বিভাগকে দেওয়া হয় । জানানো হয় প্রশাসনকে। ধীরে ধীরে পুরাতত্ত্ব বিভাগ জগজীবনপুরের ওই জায়গাটি নিয়ে গবেষনা শুরু করে । ১৯৮৫ সালে শেষের দিকে শুরু হয় খননকার্য । তারপরে ধীরে ধীরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের এই নিদর্শন কেন্দ্র বেরিয়ে আসতে শুরু করে। জগজীবনপুর বৌদ্ধবিহারটি রয়েছে ৫ বিঘার উপর।চারিদিকে রয়েছে চারটি ওয়াচ টাওয়ার।মাঝখানে বিশাল উঠান।চারিদিকে আছে বারান্দা।রয়েছে একটা বিশালাকায় কুয়ো।চারিদিকে রয়েছে থাকার ঘর।সাতটি শৌচালয়।রয়েছে একটি উপাসনা কক্ষ।পাশেই রয়েছে নব নির্মিত মিউজিয়াম।যেখানে রয়েছে পাল যুগের উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র। বৌদ্ধবিহার ঘুরে দেখার পর আপনি পাল যুগের ইতিহাসের কিছু স্মৃতিচারণ করতেই পারেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দক্ষিণাকালীর আর্বিভাব দিবসে দোহালিয়া কালীবাড়িতে বিশেষ আয়োজন! উপচে পড়ছে ভক্তদের ভিড়
আরও দেখুন

হরষিত সিংহ

বাংলা খবর/ খবর/মালদহ/
Malda News | Durga Puja Travel : পুজোর ছুটিতে ঘোরার নিরিবিলি জায়গা খুঁজছেন? যেতে পারেন মালদহের প্রাচীন বৌদ্ধবিহার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল