গত সপ্তাহের মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল সোমনাথ। অন্ধকারে বাড়ির বাইরে বেরোলে তার পায়ে বিষধর সাপে কামড়ায়। পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে গিয়ে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় ঝাড়ফুঁকের জন্য। তিন দিন ধরে চলে রোগীর ঝাড়ফুঁক। সুস্থ না হয়ে ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে। তিন দিন বাদে পরিবারের লোকেরা মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় তাকে আইসিইউ তে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়। মৃতের দাদা উত্তম ঘোষ বলেন, ভাইকে সাপে কামড়ায়। আমাদের গ্রামে অধিকাংশই ব্যক্তিকে সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাইকে সাথে কামড়ানোর পর আমরাও তাকে ওঝার কাছে নিয়ে গেছিলাম। তিন দিন ওঝা ঝাড়ফুঁক চালায়। তাতে সুস্থ না হয়ে ভাই আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনদিন পর আমরা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। বৃহস্পতিবার সকালে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৯৬ কেজি থেকে ৫৬ কেজি, সাবেকী লেহেঙ্গায় সারার থেকে চোখ ফেরানো দায়
বর্ষার মরশুম পড়তে মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সাপের ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অধিকাংশ রোগীকেই বর্তমানে হাসপাতলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। দ্রুত সঠিক চিকিৎসার ফলে অধিকাংশ রুগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে এখনো জেলার বেশ কিছু এলাকায় সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে এসে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন রোগীদের একাংশ। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা দরকার বলে মনে করছেন জেলার চিকিৎসকদের একাংশ।
হরষিত সিংহ






