মৃত দুই জনের বাড়ি এই চৌদুয়ার গ্রামে। জখম শ্রমিকের বাড়ি কুতুবগঞ্জে। রেল দুর্ঘটনায় মৃত দুই শ্রমিক সামান্য ক্ষতিপূরণ পেলেও জখম শ্রমিকে চিকিৎসার জন্য কোনরকম সাহায্য করা হয়নি বলে দাবি পরিবারের। তিন মাস ধরে চিকিৎসা চলছে, জখম শ্রমিক শিশ মহম্মদের। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাঁ পা কাটা গিয়েছে তাঁর। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও আড়াই বছরের পুত্র সন্তান, অভাবের সংসার।
advertisement
সংসারে একটু সুখের মুখ দেখার জন্য ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজে পাড়ি দিয়েছিলেন শিশ মহম্মদ। মিজোরামেই নির্মীয়মান রেল ব্রিজের কাজ করছিলেন তিনি। হঠাৎ ব্রিজ ভেঙে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোনক্রমে বেঁচে যান তিনি। তবে দুর্ঘটনায় একটি পা কাটা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতে ঘরের বাইরে থেকে ভেসে আসছে অদ্ভুত শব্দ! দেখতে গিয়েই হয়ে গেল চরম সর্বনাশ
বর্তমানে তিন মাস ধরে বাড়িতে চিকিৎসা চলছে তার। প্রথমদিকে শুধুমাত্র চিকিৎসার খরচটুকু দেওয়া হয়েছিল ঠিকা সংস্থা কোম্পানির পক্ষ থেকে। জখম শিশ মহম্মদ বলেন, “মিজোরামেই ঘটেছিল নির্মীয়মাণ ব্রিজ দুর্ঘটনা। আমার সঙ্গে কর্মরত অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনায় আমার বাঁ পা কাটা গিয়েছে। বাড়িতে বসে রয়েছি পরিবার নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। এই অবস্থায় সরকারি সাহায্যের আবেদন করছি। বর্তমানে চিকিৎসার খরচ ঠিকমতো দিচ্ছে না ঠিকা সংস্থা।”
এমন অবস্থায় চরম সমস্যায় পড়েছে, শিশ মহম্মদের পরিবার। সংসারের অনটন শুরু হওয়ায় স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে জখম শ্রমিক। গত দুই মাস ধরে শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন তিনি। এই ভাবেই চলছে, তবে আর কতদিন এইভাবে চলবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
জখম শ্রমিকের স্ত্রী বিউটি বিবি বলেন, “শ্রমিকের কাজে গিয়ে আমার স্বামীর পা কাটা গিয়েছে। সংসার চলছে না তাই বাবার বাড়িতে চলে এসেছি স্বামীকে নিয়ে। পরে কী হবে বুঝে উঠতে পারছিনা তাই সরকারি সাহায্যের আবেদন করছি।”
হরষিত সিংহ