পাঁচ দিনের এই লক্ষীপুজো হয় পুরনো ঠাকুর দালানে।আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো করে আসছেন বর্তমান প্রজন্ম। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল একটি চালার মধ্যেই দেবী লক্ষ্মী সহ অন্যান্য দেব দেবীদের বসানহয়। মাঝে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। সবার উপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। লক্ষ্মী দেবীর মাথার ওপরে দুই পাশে রাম ও লক্ষণ । ডানদিকে গণেশ লক্ষ্মী বাঁদিকে থাকেন সরস্বতী কার্তিক।
advertisement
আরও পড়ুন:পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান? একদিনেই ঘুরে আসুন মালদহের ‘গৌড়’ থেকে, কীভাবে যাবেন?
পরিবারের মেয়ে আলপনা মন্ডল বলেন, পাঁচ দিন ধরে চলে আমাদের এই পুজো। প্রথম থেকেই নিয়ম রীতি মেন পুজো হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় পুজো উপলক্ষে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে আমার বাবা পুজো শুরু করেছিলেন।পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হওয়ার পর মহানন্দা নদীতে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় সদরঘাটে। সেই দিন সদরঘাটে মেলা হয়। সদরঘাট থেকে নৌকায় আবার কোঠাবাড়ি ঘাটে নিয়ে এসে দেবী লক্ষ্মীর বিসর্জন হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৪ বছর আগে ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই পরিবারের কুল দেব-দেবীদের লক্ষ্মী দেবীর মূর্তির সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পুজিত হন তাঁরা। সেই রীতি আজও বহাল।
হরষিত সিংহ