মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বড় নিকাশি নালার উপর বেআইনি একাধিক অস্থায়ী দোকান তৈরি করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। দোকান ঘর তৈরি হওয়ায় নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কারের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল পুরসভার সাফাই কর্মীদের। এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নর্দমাযর মধ্যে নোংরা আবর্জনা নিয়মিত ফেলছিল। ফলে বর্ষার সময় জল নিকাশ হতে সমস্যা হচ্ছিল। অল্প বৃষ্টিতেই জল জমছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরসহ আশপাশের এলাকা। তাই ইংরেজবাজার পুরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকার বেআইনি জবরদখল মুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - ডেঙ্গুর থাবা মালদহে! আক্রান্ত মেডিকেল কলেজের এমএসভিপি-ও
আরও পড়ুন - বাইক লরির মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু বাইক আরোহীর,দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন
কয়েক দিন আগে এলাকা পরিদর্শন করে জবরদখল তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। এরপরেও হোটেল এবং অন্যান্য দোকান সরান নি ব্যবসায়ীরা।বুধবার সকাল দশটা নাগাদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জেসিবি মেশিন দিয়ে উচ্ছেদ করা হয় দখলকারীদের।ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় জবরদখল করে হোটেল এবং বিভিন্ন দোকান তৈরি করা হয়েছিল।
তাদের ফেলা আবর্জনায় ড্রেনের মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে হাসপাতাল চত্বর। জবর দখল মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। তারপরেও তারা জবরদখলমুক্ত করেননি। পুরসভার পক্ষ থেকে বেআইনি জবরদখল তুলে দেওয়া হল। জবরদখল না থাকলে নিয়মিত ড্রেন পরিস্কার করতে সুবিধা হবে সাফাই কর্মীদের। বৃষ্টির সময় জল জমা সমস্যা দূর হবে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে।
হরষিত সিংহ