কিছু কিছু স্কুলে সপ্তাহে একদিন ডিম দেওয়া হলেও অধিকাংশ স্কুলের ডিম দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। মিড ডে মিলের খাবারে মাংস ডিম সহ বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় খাবার চালু করা হলেও হঠাৎ করে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকদের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ এখনও বলি হচ্ছে বহু নারী পণের জ্বালায়, এমনই ঘটনা ঘটল আজিমগঞ্জ গ্রামে! এলাকায় চাঞ্চল্য
সোমা পাল নামে এক অভিভাবক বলেন, প্রায় দুইমাস আগে মাংস দেওয়া হচ্ছিল স্কুলে মিড ডে মিলে। এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও সবজির পরিমাণ কমে আসছে। মাংস ডিম সহ অন্যান্য সবজি সঠিক পরিমাণে দেওয়া হলে অনেকটাই ভালো হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। ছাত্র-ছাত্রীদের পুষ্টির বিকাশের জন্য মিড ডে মিলের খাবারের তালিকা রয়েছে। সাধারণত সেই তালিকা মেনেই খাবার দেওয়ার কথা স্কুলগুলিতে।
অধিকাংশ সময় সে তালিকা মেনে খাবার দেওয়া হলেও বর্তমানে ব্যাপক হারে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়াই তালিকা মেনে খাবার দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ গুলিকে। কারণ যে তুলনায় গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই হিসেবে মিড ডে মিলের খাবারের টাকা বরাদ্দ হচ্ছে না। সরকারিভাবে নির্দিষ্ট করা রয়েছে টাকার বরাদ্দের পরিমাণ। সেই টাকাতেই মিড ডে মিল চালাতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে।
আরও পড়ুন ঃ শহরে ডেঙ্গি আক্রান্ত এক, এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক! প্রশাসন কি তৈরি?
এমন অবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। এদিকে স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারের মান ক্রমশ নিম্নমানের হতে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাবকদের একাংশ। অভিভাবক দিলীপ কুমার পাল বলেন, পুষ্টি জাতীয় খাবার দেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে খুব ভাল। বর্তমানে সবজি সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাপক হারে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মিড ডে মিলের খাবারে সমস্যা হচ্ছে। মাংস বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
হরষিত সিংহ