দুর্গা পুজোর পর থেকেই মাটির প্রদীপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রদীপ তৈরি হচ্ছে। মালদহ জেলার প্রতিটি ব্লকেই রয়েছে কুমোর পাড়া। বছরের অন্যান্য সময় মাটির বিভিন্ন পাত্র তৈরি করে থাকেন এই মৃৎ শিল্পীরা। বছরের দুর্গা পুজো থেকে কালী পুজো পর্যন্ত মাটির প্রদীপ, ধুনুচি ঘট এই সমস্ত সামগ্রীর চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। তাই এই সময় তারা অন্যান্য কাজ বন্ধ করে মূলত পূজোর সামগ্রী তৈরিতে মনোযোগ দেন।
advertisement
আরও পড়ুন - প্রথা মেনে আজও ডাকাত কালী পুজোয় হয় লুট! সাহাপুরে শুরু প্রস্তুতি
দুর্গাপুজোর পর থেকেই মালদহ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কুমোর পাড়ায় শুরু হয়েছে প্রদীপ তৈরীর ব্যস্ততা। কালী পুজোর দুই থেকে তিন মাস আগে থেকেই বরাদ মিলে যায়। সেই হিসাবে মাটির সামগ্রী তৈরি করে থাকেন কুমোর পাড়ার শিল্পীরা। কালী পূজার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে প্রদীপ ছোট বড় বিভিন্ন আকারের প্রদীপ বাজারে বিক্রি হয়। এছাড়াও পঞ্চ প্রদীপের চাহিদা কালীপূজায় সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি ঘট ধুনুচি এই সমস্ত কিছু বিক্রি হয়ে থাকে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের কোমরেরা মাটির প্রদীপ তৈরি করে মালদহ শহরের বিভিন্ন বাজারে সেগুলি বিক্রি করেন পাইকারি মূল্যে।
আরও পড়ুন - Indian Railways: বড় সিদ্ধান্ত, নির্দিষ্ট স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠুন, না হলে বাতিল হবে আপনার টিকিট
কালীপুজোর দু-একদিন আগে থেকে শুরু হয় খুচরো বিক্রি। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরে দীপাবলি ও কালীপুজো উৎসব। তাই এখন থেকে অতিরিক্ত কারিগর নিয়োগ করে শুরু হয়েছে কাজ। তবে দিনের পর দিন মাটির সমস্যা দেখা দেওয়া এখন অনেকটাই কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিল্পীদের। বর্তমানে মাটির দাম তিন থেকে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি সহজে মাটি মিলছে না। তাই তৈরি হওয়া সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছেন শিল্পীরা। অপরদিকে বছরভর কাজ না থাকায় বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফেরার চেয়ে এই কাজ থেকে। তাই আগামীতে মাটির প্রদীপ তৈরির শিল্প নিয়ে সংশয় রয়েছে। হয়তো আগামীতে হারিয়ে যাবে এই শিল্প।
Harashit Singha