অভিযুক্তরা হলেন- তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও বর্তমানে ফিজিওলজির অধ্যাপক ড. বিপ্লব গিরি ও তৎকালীন অডিট অফিসার ও বর্তমান ডেপুটি কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন বিনয়কৃষ্ণ হালদার। এই তদন্ত কমিটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রথম মিটিং হয়েছে। আমার কাছে রিপোর্ট পেশ করবে। তারপর সেই বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি সেটি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে পেশ করব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অনলাইন নয়, বাজারে গিয়েই রাখী কিনছেন ক্রেতারা
সম্প্রতি ১১জন অধ্যাপকের বিভিন্ন বিভাগে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।ওয়াইফাই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. বিপ্লব গিরির বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ায় শাসকদলের অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার প্রেসিডেন্ট কৃষ্ণকলি বসুর।তিনি আবার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ই সি মেম্বার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার পরবর্তী সময়ে নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগে দৃশ্যতই কিছুটা ব্যাকফুটে একদা পার্থ ঘনিষ্ঠ এই দাপুটে অধ্যাপক নেত্রী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক ই সি মেম্বার বলেন,ই সি মিটিংয়ে কৃষ্ণকলি দেবী খুব অল্প থাকেন।
আরও পড়ুনঃ গণপিটুনিতে মৃত্যু যুবকের, পুরনো বিবাদের জেরেই মারধর! অভিযোগ পরিবারের
অনেকসময় আগাম চিঠি দিয়ে অনুপস্থিত থাকেন।কলকাতা থেকে মালদায় এসে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার তৎপরতাকে তাই কিছুটা \"সন্দেহের চোখে\" দেখছেন তিনি।তাঁর আমলে বেআইনি নিয়োগগুলিকে চাপা দেওয়ার জন্য কৃষ্ণকলি দেবীর এই তৎপরতা?নাকি ওয়াইফাই দুর্নীতি গৌড়বঙ্গের বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির হিমশৈলের চূড়া মাত্র?এর উত্তর জানতে তদন্ত কমিটির পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে আছেন জেলার সকলে।
Harashit Singha