দুই দিনাজপুর,বাকুড়া-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান নিয়ে আসেন। দোকানঘর তৈরি করতে ব্যস্ততা শুরু করেছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। উদ্যোগতারা জানান,এই বছর প্রায় পাঁচ শতাধিক ছোট বড় দোকান থাকবে। অধিকাংশ কাঠের আসবাবপত্রের দোকান। আশাপুর ও ডুমরাল গ্রামের যৌথ উদ্যোগে ওই মেলার আয়োজন করা হয় বর্তমানে।কথিত আছে একশো বছরের বেশি সময় ধরে পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন মহানন্দা নদীর পাড়ে শুরু হয় মেলা।
advertisement
আরও পড়ুন : এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি করে দেওয়ার নামে প্রতারণা! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে সক্রিয় চক্র
বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা পুণ্যের আশায় নদীর জলে স্নান সেরে গঙ্গাদেবীর আরাধনায় ব্রতী হন এখানে। স্নান ও পুজো সেরে নদী তীরবর্তী স্থানে আলুর দম ও মুড়ি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। প্রত্যেক পুণ্যার্থী স্নান পুজো সেরে এখানে বসে আলুর দম ও মুড়ি খেয়ে বাড়ি ফেরেন। শতাব্দী প্রাচীন এই প্রথা আজও রয়েছে। শুধু তাই নয় মনস্কামনা পূরণের আশায় পুণ্যার্থীরা গঙ্গার জলে ডাব ভাসান দেন।এই প্রাচীন রীতে আজও বহাল রয়েছে।
আরও পড়ুন : দিনেও জ্বলছে গাড়ির হেডলাইট, কুয়াশায় ঢাকা আলিপুরদুয়ার কাঁপছে ঠান্ডায়
ইতিমধ্যে নদীর পাড়ে স্নানঘাটের নিরাপত্তা বজায় রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন।অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে রাখা হবে স্পীড বোর্ড,ভাসমান টিউব,নৌকা ও একাধিক নিরাপত্তা পরিকাঠামো।পাশাপাশি নদীর ধারে অস্থায়ী তৈরি করা হচ্ছে পোশাক বদলানোর ঘর শৌচালয়।থাকছে পানীয় জলে ব্যবস্থা।অস্থায়ী ভাবে চাপাকল বসানো হচ্ছে মেলায়। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে এই বছর পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছেন প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মেলার আয়োজন।