মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নার্সিংহোমে রক্ত দেওয়া হয় এই একটিমাত্র ব্লাড ব্যাংক থেকে। করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই রক্তের ঘাটতি ব্যাপক হারে প্রকাশ্যে এসেছে। মালদহ জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্তদান শিবির আয়োজনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে শিবিরে গিয়ে রক্তদান করেন সে বিষয়ে সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এমনকি মালদহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন দফতরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দারুন খবর! কেন্দ্র ও রাজ্যের রিপোর্টে কালাজ্বর নির্মূল হয়েছে বাংলার এই জেলা থেকে
সরকারি কর্মী আধিকারিকেরা সেখানে রক্তদান করছেন। রক্তদান নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে এছাড়াও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এবার রক্তদান নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে আসলো জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় রক্তদানের পাশাপাশি ফারাক্কা রায়গঞ্জ হাই লিমিটেডের উদ্যোগে প্রাথমিক চিকিৎসার সংক্রান্ত বিষয়ক বিশেষ সচেতনতা শিবির করা হবে টোল প্লাজা গুলিতে। এই ধরনের সচেতনতা শিবির টোল প্লাজা গুলিতে করলে সাধারণ মানুষ অনেকটাই সচেতন হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুনঃ গ্রামে ঢোকার রাস্তা যেন কাদামাখা পুকুর! ক্ষোভ গ্রামবাসীদের, নির্বিকার প্রশাসন
গাজোল টোলপ্লাসে আয়োজিত এদের এই রক্তদান শিবিরে ৩৩ জন টোল প্লাজার কর্মী আধিকারিক রক্তদান করেন। ফরাক্কা রায়গঞ্জ হাইওয়ে লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মনোজ কুমার তেওয়ারি বলেন, সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের এই উদ্যোগ। আগামীতে অন্যান্য টোল প্লাজাতেও এমন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে। শুধু রক্তদান শিবির নয় পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার সংক্রান্ত বিষয়ক সচেতনতামূলক শিবির করা হবে।
Harashit Singha