Malda: গ্রামে ঢোকার রাস্তা যেন কাদামাখা পুকুর! ক্ষোভ গ্রামবাসীদের, নির্বিকার প্রশাসন
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
নেই রাস্তা, আর তারি জেরে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত গোটা গ্রামে। রাস্তা না থাকায় বিছিন্ন হয়ে রয়েছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের আদিবাসী অধ্যুষিত সেতুনটোলা গ্রাম।
#মালদহ : নেই রাস্তা, আর তারি জেরে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত গোটা গ্রামে। রাস্তা না থাকায় বিছিন্ন হয়ে রয়েছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের আদিবাসী অধ্যুষিত সেতুনটোলা গ্রাম। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে, আজো রাস্তা থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে এই আদিবাসী গ্রাম। কাঁচা রাস্তা দিয়ে কোনক্রমে গ্রামে বাসিন্দারা যাতায়াত করেন। তবে কাঁচা রাস্তা অধিকাংশ সময় বেহাল অবস্থায় থাকে, যার জেরে কোনো গাড়ি ঢুকতে পারে না গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দাদের এখন একটাই দাবি পাকা রাস্তা। মালদাহের হবিবপুর ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধুমপুর পঞ্চায়েতের সেতুনটোলা গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় একশোটি পরিবারের বসবাস। আদিবাসী এই গ্রামে ঢোকার প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা আজও তৈরি হয়নি। বাধ্য হয়ে গ্রামের বাসিন্দারা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। তবে আজও গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স, কোন গাড়ি পর্যন্ত গ্রামে ঢুকতে পারে না রাস্তা না থাকায়।
গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখনো গ্রামবাসীদের সমস্যায় পড়তে হয়। খাটে করে রোগীকে প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। সেখান থেকেই অ্যাম্বুলেন্স বা অন্য কোন গাড়ি করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় রোগীকে। শুধু তাই নয় নিত্যদিন খুব সমস্যায় পড়তে হয় গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের। পাকা রাস্তা না থাকায় হেটেই যাতায়াত করতে হয় স্কুলে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টি নেই, মাঠে শুকিয়ে যাচ্ছে পাট! লোকসানের মুখে জেলার পাট চাষিরা
বর্ষার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাদা থাকে রাস্তায়। সেই সময় গ্রামের বাসিন্দারা একেবারেই গ্রাম থেকে বের হতে পারেন না। জমির আলপথে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তা না থাকলেও গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছেছে, তবে রাস্তা তৈরি না হওয়ায় অন্যান্য আধুনিক পরিষেবা থেকে আজও বঞ্চিত এই প্রত্যন্ত গ্রাম।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ সাপে কামড়ালে কী কী করবেন? কর্মশালায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা
স্থানীয় পঞ্চায়েত ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন সকলের কাছে দরবার করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। আশ্বাস মিলেছে তবে আজও রাস্তা তৈরিতে এগিয়ে আসেনি কেউ। গত কয়েক মাস আগে জেলাশাসক নিজে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছিলেন রাস্তা। দ্রুত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা তৈরীর আশ্বাস পর্যন্ত দিয়ে এসেছিলেন। তবে আজও বাস্তবে কিছুই কাজ হয়নি।
advertisement
Harashit Singha
Location :
First Published :
July 25, 2022 4:03 PM IST