আরও পড়ুন: বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য এগিয়ে এল মায়েরা, তাতেই ঘটল মিরাকেল
স্থানীয়দের অভিযোগ, পুরাতন মালদহের বেহুলা নদী প্রশাসনের গাফিলতিতে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই নদী বাঁচাতে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করে যাচ্ছেন নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এবার বেহুলা নদীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসল মালদহের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বেহুলা নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে বেহুলা বাঁচাও কমিটি তৈরি করেছে তারা। আগামী দিনে এই নদী বাঁচাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে ওই কমিটির।
advertisement
সেই নদী বাঁচাও কমিটি তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরাতন মালদহের ভাটরা গ্রামে বেহুলা নদীর তীরে এক আলোচনাসভার আয়োজন করে। সেখানেই স্থানীয়দের থেকে নদী বাঁচানোর দাবিতে সই সংগ্রহ করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী রূপক দেব শর্মা বলেন, এই নদীটি সংস্কার করতে গ্রামবাসীদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা এই কমিটির মাধ্যমে নদী সংস্কারের বিভিন্ন দাবি জানাব প্রশাসনের কাছে।
পুরাতন মালদহের এই নদীর দৈর্ঘ্য খুব অল্প হলেও এটি একটি ঐতিহ্যবাহী নদী। মনসামঙ্গল কাব্যে এই নদীর উল্লেখ আছে। কথিত আছে, এই নদীর উপর দিয়েই নাকি বেহুলা স্বামী লখিন্দরের ভেলা নিয়ে ভেসে গিয়েছিলেন। এই নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। মহানন্দা নদীর শাখা নদী এটি। পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকা সহ পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর ও মঙ্গলবারই গ্রাম পঞ্চায়েত ছুঁয়ে গিয়েছে বেহুলা নদী। নদীটি শেষ হয়েছে ভাটরাট বিলে গিয়ে। এই নদীর উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল প্রায় ২ লক্ষ মানুষ। মূলত এই নদীর জলের উপর নির্ভর করে একসময় এলাকায় কৃষি কাজ হত। বর্তমানে নদীর জল তেমন না থাকায় কৃষিকাজ করতে পারছেন না স্থানীয়রা। এমনকি নদীতে জল থাকলেও সেই জল দূষিত, ফলে তা চাষ আবাদের কাজে ব্যবহার করা যায় না। নদীর জল শরীরে ছুঁলেই চর্ম রোগের শিকার হচ্ছেন বাসিন্দারা। তাই কেউ আর ভয়ে নদীতে নামেন না। এই অবস্থায় নদীর সংস্কার করে তার প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ময়দানে নেমেছে স্থানীয়রা।
হরষিত সিংহ





