দিনভর তো দূরের কথা, সাধারণত আনন্দ করার বা খুশিতে থাকার কোনও সুযোগ জোটে না ওদের। হয় পরিবারের আর্থিক অনটন, নয়ত নিজেদের শারিরীক সমস্যায় এই শৈশবেই জেরবার ওরা। তবে ওদেরও তো ইচ্ছে করে আর পাঁচটা শিশুর মত নিজেদেরকে সকলের মাঝে তুলে ধরতে। দুঃস্থ, অনাথ বা বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের একত্রিত করে তাদের মনের মত করে একটা দিন অন্তত সমস্ত কিছু করতে এগিয়ে এলেন মালদহ শহরের বেশ কয়েকজন সহৃদয় ব্যাক্তি। তাঁরা পেশায় কেউ আইনজীবী, কেউ শিক্ষক আবার কেউ পুলিশ। সকলে মিলে এগিয়ে এসেছেন এমন মহৎ উদ্দেশ্য। নিজেদের কর্মজীবনের ব্যস্ততার একঘেয়েমি কাটাতে একটু অন্যরকম বনভোজনের আয়োজন করলেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ধুলোর হাত থেকে শিলিগুড়িবাসীকে বাঁচাতে কাজে লাগানো হচ্ছে জল নিষ্কাশনের গাড়ি! পুরোটা জানলে অবাক হবেন
তবে এই বনভোজনের নিজেদের আনন্দ নয়, বরং অবহেলিত-বঞ্চিত শিশুদের একটু আনন্দ দেওয়াটাই ছিল তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য। রবিবার মালদহের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় পাঁচ শতাধিক এমন শিশুকে নিয়ে বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়। শিশুরা ছাড়াও এই বনভোজনে উপস্থিত ছিল সমাজের এমন কিছু ব্যক্তিত্ব, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে এই বনভোজনের অনুষ্ঠানেই সংবর্ধনা জানানো হয়।শুধুমাত্র নাচ-গান, বনভোজন বা সংবর্ধনা জ্ঞাপন নয়। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতনতার বিভিন্ন বার্তাও দেওয়া হয়। এই বছরের অনুষ্ঠানের মূল বার্তা ছিল জল সংরক্ষণ, রক্তদান, সবুজ বাঁচানো সহ বিভিন্ন বিষয়।
মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ের একদল বন্ধুরা গত ১২ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছেন। রবিবার মালদহ এগ্রিকালচার ফার্ম ময়দানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৫০০ শিশু ও অভিভাবকরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। বাচ্চাদের কেউ খেলায়, কেউ আবার নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে আনন্দ উপভোগ করে। উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা সুদীপ্ত গাঙ্গুলি, পার্থ মুখার্জি সহ অন্যান্যরা।সুদীপ্ত গাঙ্গুলি জানান, প্রতিবছর বাচ্চাদের মুখে হাসি ফোটাতে তাঁরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন।
হরষিত সিংহ