মালদহের এই দুই গ্রামের মানুষের বক্তব্য, তাঁদের এখানে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক ছাড়া অন্য কেউ বসবাস করে না। ফলে সেই আসন তপশিলি মহিলার জন্য সংরক্ষিত হলে কোথা থেকে প্রার্থী পাওয়া যাবে সেই প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ছোটপুর ও ছোটপুর ভেস্টপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের সংরক্ষণ তালিকা বদলের দাবি তোলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তালিকা দেখে ক্ষুদ্ধ তৃণমূলের বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য মাসিদুর রহমান৷ তিনি বলেন, এখানে পুরোনো বুথ ভেঙে দুটো করা হয়েছে৷ আমাদের বুথের প্রত্যেকেই মুসলিম ভোটার৷ কিন্তু সেই বুথকেই তফশিলি মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে৷ বিষয়টি নজরে আসতেই জেলাশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছি৷ দলের নেতৃত্বকেও জানিয়েছি৷ কিন্তু প্রত্যেকেই বলছেন আর কিছু করার নেই! এই পরিস্থিতিতে কোথা থেকে প্রার্থী পাওয়া যাবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ওই তৃণমূল নেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহল ফিরে পেতে অস্ত্র একশো দিনের বকেয়া! বাঁকুড়া বিরাট হুঁশিয়ারি অভিষেকের
ছোটপুর ও ছুটপুর ভেস্টপাড়া গ্রামের মানুষ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, এই সংরক্ষণ গেড়োর কারণে পার্শ্ববর্তী অন্য গ্রাম থেকে কাউকে প্রার্থী করা হলে তাঁরা ভোট দেবেন না। প্রসঙ্গত ছোটপুর ও ছোটপুর ভেস্টপাড়া আগে একটিমাত্র বুথ ছিল৷ সেই বুথ ভেঙে এবার ২/২ ও ৩/৩ করা হয়েছে৷ ২/২ বুথের অংশ হল ১৮৯৷ সেই বুথে মোট ৮৬৭ জন ভোটার৷ প্রত্যেকে মুসলিম৷ অথচ ওই বুথটিই এবার তফশিলি মহিলা সংরক্ষিত৷ অর্থাৎ এবার ওই গ্রামের কোনও বাসিন্দা নিজের এলাকার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষদ্ধ গ্রামবাসীরা৷
নির্বাচন কমিশনের এই সংরক্ষণ তালিকার গেড়ো নিয়ে মহম্মদ ওবাইদুল শেখ নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ঘটনাটা জানতে পেরেই আমরা বিডিওর কাছে গিয়েছিলাম৷ তাঁকে বলেছিলাম, এই গ্রামে একজনও হিন্দু ভোটার নেই৷ তাহলে আমাদের বুথ তফশিলি মহিলা সংরক্ষিত হল কীভাবে? বিডিও আমাদের জানিয়ে দেন, তাঁর কিছু করার নেই৷ গোটা বিষয়টি জেলাশাসকের অধীনে৷ তিনি যা করার করবেন৷ তা শুনে গ্রামের কয়েকজন জেলাশাসকের কাছেও যায়৷ কিন্তু তিনিও কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ আমাদের সাফ কথা, আমরা এখানে বহিরাগত কোনও প্রার্থীকে মানব না৷
হরষিত সিংহ