মালদহ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া এক নম্বর ও মানিকচক ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েত নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়ে জেলা শাসকের কাছে। অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্রর নির্দেশে শুরু হয় ঘটনার তদন্ত। অতিরিক্ত জেলা শাসক বৈভব চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে তদন্ত করেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন- বাড়িতে চড়াও হয়ে বৌদিকে এলোপাথাড়ি ভোজালির কোপ! চাঞ্চল্য ইংরেজবাজারে!
advertisement
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১০০ দিন প্রকল্পের কাজের পুকুর খনন ও রাস্তার কাজের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। প্রকল্পের মোটা অংকের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হয়েছেন রতুয়া এক নম্বর ব্লকের কাহালা ও বাহারাল পঞ্চায়েতের রোজগার সহায়ক ও মানিকচক ব্লকের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।একশো দিনের কাজ প্রকল্পের সাথে যুক্ত এই তিন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন মালদহ জেলা শাসক। এরই পাশাপাশি কাহালা এবং বাহারাল পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক সেক্রেটারি এবং অ্যাসিস্ট্যান্টের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত আরম্ভ হয়েছে।
আরও পড়ুন- জল থৈ থৈ বোরো ধানের জমি! লাগাতার ঝড় বৃষ্টিতে মাথায় হাত কৃষকদের
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এই কর্মীকে সাসপেন্ড করে তদন্ত করবে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। যদিও এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি জেলা প্রশাসনের কর্তা আধিকারিকেরা। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে মালদহ জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "তৃণমুল কংগ্রেস নীচ থেকে উপর পর্যন্ত দুর্নীতিতে যুক্ত। আধিকারিকরা যুক্ত না থাকলে এটা সম্ভব নয়। অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।"
জেলা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, "তৃণমূল দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করে না। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে দলকে ব্যবহার করে যারা দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। এক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে, ভালো কাজ করছে।"
Harashit Singha