উল্লেখ্য যে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর খড়গপুর; পাশাপাশি এই শহরের উপর দিয়েই যাচ্ছে দু'টি জাতীয় সড়ক ৬ নং ও ৬০ নং রয়েছে আইআইটি (IIT Kharagpur)'র মতো বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আছে অন্যতম সুবৃহৎ রেলওয়ে স্টেশন। তাই, এই শহরে একটি "ট্রমা সেন্টার" থাকা নিতান্তই জরুরি বলে মনে করেছেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তাঁর প্রশাসন। সর্বোপরি, জাতীয় সড়ক থাকায় প্রতিদিন ঘটছে একাধিক দুর্ঘটনা। সেই কারণেই খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল ট্রমা কেয়ার ইউনিট বা ট্রমা সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন। কিন্তু, কি এই ট্রমা সেন্টার? দুর্ঘটনা, পড়ে যাওয়া, গুলি লাগা সহ যেকোন শারীরিক ও মানসিক আঘাতের দ্রুত ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হয় যে হাসপাতালে, তাকেই ট্রমা সেন্টার বা ট্রমা কেয়ার ইউনিট বলা যেতে পারে।
advertisement
বুধবার হঠাৎ করেই খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক ড. রশ্মি কমল। নির্মীয়মান ট্রমা কেয়ার ইউনিট পরিদর্শনের পাশাপাশি, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তিনি। তবে, এখনও কেন ট্রমা ইউনিটের কাজ শেষ হয়নি, তা নিয়ে পূর্ত দপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছেন জেলাশাসক। এই ইউনিটের জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম কেনা হয়ে থাকলেও, পরিষেবা চালু হয়নি পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ার কারণে! এ নিয়ে পূর্ত দফতরের কাছে কৈফিয়ত চাওয়ার পাশাপাশি, হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি বৈঠকে বসেন, হাসপাতালের সুপার ডাঃ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলা শাসক (জনস্বাস্থ্য ও জেলা পরিষদ) পিনাকী রঞ্জন প্রধান, মহকুমা শাসক আজমল হোসেন, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ, খড়গপুর পৌরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে। বৈঠক শেষে জেলাশাসক ডঃ রশ্মি কমল বলেন, "খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়েছে। ট্রমা কেয়ার ইউনিট দ্রুত চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পূর্ত দপ্তরকে দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"
Partha Mukherjee