পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর ১ নং ব্লকের অধীন এই গ্রামটি জাতীয় সড়কের একেবারে পাশে অবস্থিত হলেও, এই গ্রামে গত প্রায় ৩০ বছর ধরে কোনও হাসপাতাল নেই (No Hospital in Village)। শুধুমাত্র সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আউটডোর পরিষেবা পাওয়া যায়। কিন্তু, দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে বড় কিছু ঘটলে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল বা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে হয় (No health service within 20-30 kms)! আর, তুলনায় ছোটোখাটো কিছু ঘটলে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালই ভরসা! এই পরিস্থিতিতে গ্রামের যুবক প্রণব মাহাত কিংবা প্রৌঢ় তপন মাহাত'রা দাবি তুললেন, এই হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা প্রয়োজন (Villagers need 24 hour hospital)। হাসপাতালটি আগাছায় ঢেকে যাচ্ছে। সাপ-খোপের উৎপাত বাড়ছে। অবিলম্বে সংস্কার করে পূর্ণ সময়ের হাসপাতাল হিসেবে পুনরায় চালু করা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন Visva Bharati news| Birbhum: বিশ্বভারতীতে খোলা হল বিক্ষোভ মঞ্চ, থেকেই যাচ্ছে আন্দোলনের আশঙ্কা
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকেই এই হাসপাতালের ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। কিন্তু, তার আগে ১৫ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে পথ চলা শুরু করেছিল বেশ কয়েক বছর। এরপর, শুধুই আউটডোর পরিষেবা। এলাকার প্রণব মাহাত নামে এক যুবক বললেন, "আশপাশের ২০-৩০ টি গ্রামের প্রায় ৫০-৬০ হাজার বাসিন্দা খেমাশুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল (Health Service)। কিন্তু, আউটডোর ছাড়া কোনও চিকিৎসা পরিষেবা নেই! কোনও কিছু ঘটলে এই ২০-৩০ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। তাই, অবিলম্বে ১৫-২০ বেডের হাসপাতাল হিসেবে পুনরায় এটি চালু করা হোক। এতে উপকৃত হবেন অর্ধ লক্ষ মানুষ।" তপন মাহাত নামে এক ব্যক্তি বললেন, "হাসপাতালের ভবন, চিকিৎসকদের কোয়ার্টার সবই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আগাছায় মুখ ঢাকছে (Hospital building is worsening)। অবিলম্বে এগুলি সংস্কার করা প্রয়োজন।" তিনি এও বললেন, "আমরা এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরেও চিঠি পাঠিয়েছি হাসপাতাল পুনরায় চালু করার বিষয়ে। কিন্তু, কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তাই, আবারও দাবি করছি পূর্ণ সময়ের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হোক এখানে।" এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভুবন চন্দ্র হাঁসদা জানিয়েছেন, "এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে একজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন নার্স, একজন ফার্মাসিস্ট এবং একজন গ্রুপ-ডি স্টাফ আছেন। এই চারজন নিয়ে তো ইনডোর পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। তবে, এলাকাবাসীর দাবির কথা আমরা রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেব।"






