নতুন করে যখন কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে, তখন জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ মহম্মদ ইউনুস (West Bardhaman News)। তিনি জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমনের শিকার হয়েছেন জেলা হাসপাতালের বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী। আরটিপিসিআর ল্যাবের কর্মী এবং জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক মিলিয়ে প্রায় ১০ জন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাছাড়াও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-এর দফতরের বেশ কয়েকজন সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। সিএমওএইচ অফিসের তিন জন কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন এই মুহূর্তে। পাশাপাশি জেলা হাসপাতালে বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মী সংক্রমিত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
advertisement
অনেক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে জেলায় (West Bardhaman News)। আশঙ্কা করা হচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ার। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, এই ভাবে যদি স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হন, তাহলে পরিষেবা দেওয়া সংকটজনক হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হলে, তিনি স্বাস্থ্য ভবনকে জানাবেন। সেখান থেকে স্বাস্থ্যকর্মী চেয়ে আবেদন করবেন। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবরে উদ্বেগ বাড়ছে।
সূত্রের খবর, জেলায় গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সংক্রমনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে জেলা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৫ থেকে ১৬ জন। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সাত থেকে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন (West Bardhaman News)। বিভিন্ন বেড প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। রাখা হচ্ছে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। তাছাড়াও সেফহোমগুলিকে প্রয়োজনে ফের কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত রাখার কাজ শুরু হয়েছে।
তবে কিছুটা আশার বাণী শুনিয়ে সিএমওএইচ জানিয়েছেন, যে পরিমাণ আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, সে তুলনায় অনেক কম মানুষকেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে (West Bardhaman News)। অল্প উপসর্গ থাকায়, অনেকেই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে তিনি সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মানুষকে সবসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করতে বলছেন। পাশাপাশি বাজারগুলিতে সংক্রমনের আশঙ্কা অনেক বাড়ছে। তাই সাধারণ মানুষকে এই মুহূর্তে ভিড় এড়িয়ে চলার জন্য অনুরোধ করেছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।
Nayan Ghosh






