একইসঙ্গে বুঝতে পারবেন জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত ছোট-ছোট গ্রামগুলির জীবনযাপনের ধারা। অজয় নদীর তীরে ইতিহাসের (Durga puja travel)সঙ্গে কথা বলতে বলতে, কাটিয়ে দিতে পারবেন দুটো দিন। তাই পুজোতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে দেউল পার্ক।
দেউল পার্ক অবস্থিত পশ্চিম বর্ধমান আর বীরভূমের সীমান্তে। অজয় নদীর পাড়ে রয়েছে দেউল পার্ক। নদী পেরোলেই পৌঁছে যাবেন বীরভূমে। ঐতিহাসিকদের মতে, দেউল পার্ক সংলগ্ন জায়গাটি ছিল রাঢ়বঙ্গের রাজা ইছাই ঘোষের রাজধানী। এই জায়গায় বসেই, রাঢ়বঙ্গের একাধিক জায়গায় নিজের শাসন বিস্তার করেছিলেন ইছাই ঘোষ।
advertisement
বর্গী আক্রমন থেকে নিজের রাজ্য রক্ষা করতে, তৈরি করেছিলেন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। ইট-চুনসুরকি দিয়ে বানিয়ে ছিলেন(Durga puja travel) সুউচ্চ একটি টাওয়ার। এই ওয়াচ টাওয়ারটি ইছায় ঘোষের দেউল নামে পরিচিত। দেউল বা ওয়াচ টাওয়ারের নিচে একটি শিব লিঙ্গের অবস্থান রয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারটি কেন্দ্র করেই দেউল পার্ক তৈরি করা হয়েছে।
ইছাই ঘোষের কাছেই রয়েছে ঐতিহাসিক গড় জঙ্গল (Durga puja travel)এবং শ্যামা রুপার মন্দির অনতিদূরে নির্জন জঙ্গলের মাঝে দেবী শ্যামা রূপে অবস্থান থেকে খুব সহজেই ঘুরে নেওয়া যায় এই জায়গা পায় সারা দেবী বলে ইতিহাসে পরিচিত আছে এখানেই অবিভক্ত বাংলার প্রথম দুর্গাপুজো হয়েছিল ।
তাছাড়া উপরে যে জঙ্গল রয়েছে সেই জঙ্গল মাঝে মাঝে বসতি রয়েছে বেশকিছু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের অল্প অল্প জানে তাদের জীবন যাপনের ধারা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে নদী পাড়ের কাশফুল আকাশের পেঁজাতুলোর মতো ভেসে বেড়ানো মেঘ ঘন সবুজের জঙ্গল আর চারপাশের পরিবেশ খুব সহজেই মুহিত করবে আপনাকে
ইছাই ঘোষের (Durga puja travel)দেউলকে কেন্দ্র করে একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে।
যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বিভিন্ন রকমের রিসর্ট। আপনার বাজেট এবং চাহিদা অনুযায়ী, আপনি রিসর্ট বুক করতে পারেন(Durga puja travel)। পেয়ে যাবেন পছন্দ মতো খাওয়ার। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে একাধিক ব্যবস্থা। রয়েছে বিভিন্ন জয় রাইড। পার্কের ভেতর অবস্থিত একটি বড় দিঘিতে আপনি বোটিংয়ের মজা নিতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন গাছগাছালিতে ভরা এই জায়গা আপনাকে হতাশ করবে না।
শীতে দেউল পার্কে নানা রকমের, নানা রঙের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার মত দৃশ্য। এছাড়াও এখানে হরিণ সংরক্ষণ করা হয়। ভাগ্য ভালো থাকলে ময়ূরের দেখাও পেয়ে যাবেন। সব মিলিয়ে ইতিহাস, আধুনিকতা ও আধ্যাত্মিকতা মিলেমিশে তৈরি করেছে এক অপরূপ সুন্দর পরিবেশ।
পশ্চিম বর্ধমানের যে কোন জায়গা থেকে আপনি খুব সহজেই দেউল পার্কে পৌঁছে যেতে পারবেন।
দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে মলানদিঘির(Durga puja travel)রাস্তা ধরে আপনাকে দেউল পার্ক যেতে হবে। জেলা সদর আসানসোল থেকে আপনি ট্রেন অথবা গাড়ি নিয়ে চলে আসতে পারেন মুচিপাড়া। তারপর সেখান থেকে ট্রেকার ভাড়া করে, দেউল পার্ক পৌঁছে যেতে পারবেন। নিজের গাড়ি থাকলে তো কথাই নেই। কলকাতা থেকে আপনি যদি দেউল পার্কে আসতে চান, তাহলে আপনাকে দুর্গাপুর স্টেশন নামতে হবে। বাসর এলে দুই নম্বর জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত মুচিপাড়া নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে একই পথ ধরে আপনি ইছাই ঘোষের দেউলে পৌঁছে যাবেন। তাই পুজোতে দূরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা না থাকলে, হাতের কাছে দেউল পার্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
Nayan Ghosh