এরপর দেবী স্বপ্নে এসে জমিদার বৈকুন্ঠ বাবুকে আদেশ দেন, তাকে পুনরায় রায় বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য। স্বপ্নাদেশ ছিল মেয়ে বুড়ির নামেই তাকে ডাকতে। দেবীর পুজো (Durga Puja 2021)শুরু হলেই, তার ঘর আবার আগের মতোই সুখ আর শান্তিতে ভরে যাবে।
দেবীর স্বপ্নাদেশের পরে রায় বাড়িতে বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্গাপুজো ফের শুরু হয়। পুজো (Durga Puja 2021)শুরু হয় মেয়ে বুড়ির নামে। দেবীকে সবাই ডাকতে থাকেন বুড়ি মা বলেই। বছর খানেকের মধ্যেই আর এক মেয়ের জন্ম হয় রায় পরিবারের। ইনিও ছিলেন পরমাসুন্দরী।
advertisement
বছর ১১ বয়স হতেই বৈকুণ্ঠবাবু মেয়েকে পাত্রস্থ করেন। বাঁকুড়ার তাজপুরের নন্দলাল চট্টোপাধ্যায়ের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে তিনি। ঘরজামাই করে রাখেন নন্দলালবাবুকে। এরপরে নন্দলাল চট্টোপাধ্যায় তার শ্বশুর মহাশয়ের সাথে চলে আসেন গোপালপুরে। সেখানেই জমিদারিত্ব সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বুড়ি মায়ের পুজো(Durga Puja 2021)।
গোপালপুরে ১৬৫০ সালে শুরু হয় বুড়ি মায়ের পুজো। সম্রাট শাহজাহানের সময়কালে শেষে শুরু হয় পুজো(Durga Puja 2021)। গোপালপুরের শ্মশানঘাট বলে পরিচিত জমিতেই শুরু হয় বুড়ি মায়ের পুজো। ৬০০ বছর আগে গোপালপুরে বুড়ি মায়ের পুজো শুরু হয়। গোপালপুর চট্টোপাধ্যায় পরিবারেই হয় সপ্তসতী হোম।
জানা গিয়েছে, গোপালপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সপ্তসতী হোম। এই হোমের সময় দেবীর কাছে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে দেবী(Durga Puja 2021) তা পূরণ করেন বলেই বিশ্বাস চট্টোপাধ্যায় পরিবারের। বোধনের দিন থেকেই এখানে শুরু হয় পুজো।
এদিন পুজোর পরে সিন্দুর খেলাও হয় গৃহবধূদের(Durga Puja 2021) মধ্যে। পরিবারের প্রবীণা গৃহবধূ ঝর্ণা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তাদের বুড়ি মায়ের বরণ হয় না। পুজোর সময় দুদিন মেয়েরা সিন্দুর খেলে। অষ্টমীর বলির পরে এবং বুড়ি মাকে বিদায় দেওয়ার সময় বাড়ির মহিলারা সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন। দুর্গাপুর মহকুমার অন্যতম প্রাচীন এবং বিখ্যাত পুজোগুলির একটি হল, বুড়ি মায়ের পুজো।
Nayan Ghosh