উপনির্বাচনে নিজের গড়ে প্রার্থী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিপক্ষে বিজেপির প্রাথী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তৃণমূল শিবির। তবে নির্বাচনের আগে প্রচার, পরিকল্পনায় কোনও রকম ফাঁকফোকড় রাখতে রাজি নয় তৃণমূল। তাই জোরকদমে যেমন প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা, ঠিক তেমনভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর জয়লাভ কামনা করে যজ্ঞের আয়োজন করেছিল তৃণমূল।
advertisement
দুর্গাপুরের দামোদর কলোনির একটি কালী মন্দিরে এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। পাঁচ কেজি ঘি এবং ৫০ কেজি কাঠ জ্বালিয়ে সারা হয়েছে মহাযজ্ঞ। একাধিক পুরোহিত এই যজ্ঞে হাজির ছিলেন। হাজির ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। প্রত্যেকেই নামাবলি গায়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জয়লাভের কামনা করেছেন দেবী মূর্তির কাছে। নতমস্তকে, হাতজোড় করে দেবী কালির কাছে প্রার্থনা করেছেন ভবানীপুর কেন্দ্রে মুথ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিপুল ভোটে জয়লাভের।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পারিয়াল বলেছেন, উপনির্বাচনে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটবর্তী প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জিততে পারেন, তার জন্যই এই মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেক তৃণমূল নেতা, কর্মী, সমর্থকরা তৃণমূল নেত্রীর জয়লাভ কামনা করেছেন। যদিও তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়লাভ সম্পর্কে নিশ্চিত, তবুও যাতে নির্বাচন পর্ব সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, যাতে মুখ্যমন্ত্রী ব্যাপক ব্যবধানে জিততে পারেন, তারজন্যই এই আয়োজন।
আরও পড়ুন Bengal News| Birbhum: পুলিশি উদ্যোগে জাতীয় সড়কের উপর থাকা ডেউচা ব্রিজের রাস্তা সারাই
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে চোট লেগেছিল, তখনও তাঁর সুস্থতা কামনায় দলের একাধিক নেতানেত্রী যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। নেত্রী যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার খেলার মাঠে নামতে পারেন, তার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন দলের হেভিওয়েট থেকে নীচুতলার কর্মী, সমর্থক সকলেই। তারপর মে মাসে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তবে নন্দীগ্রাম আসনে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই উপনির্বাচনে তিনি ভবানীপুর থেকে ফের লড়াইয়ে নেমেছেন। পুজোর আগেই রাজ্যে ভোটপুজো। স্বাভাবিকভাবে, ভবানীপুরে উপনির্বাচনে যাতে খেলা হবের জয়জয়কার বজায় থাকে, তারই কামনায় মহাযজ্ঞ সারলেন দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারা।