TRENDING:

'শিব জ্ঞানে জীব সেবা' ! 'আশার আলো' দিশা দেখাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানে

Last Updated:

বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে রক্তদান, লকডাউনের মত কঠিন সময়ে মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া, মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদযাত্রা সহ একাধিক কর্মসূচি তাঁরা গ্রহণ করেছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
 #পশ্চিম বর্ধমান:  শিব জ্ঞানে জীব সেবা। গবেষকদের মতে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের থেকে এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে স্বামী বিবেকানন্দ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে ব্রতী হয়েছিলেন। শিব জ্ঞানে জীব সেবার মন্ত্রকেই পাথেয় করে এগিয়ে চলেছে আশার আলো । পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আশার আলো। যে সংস্থার সদস্যরা কঠিন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। শুধু মানুষ নয়, যে কোনও জীবের সেবা করাই তাঁরা ধর্ম হিসেবে দেখেন।
advertisement

তবে শুধু আশার আলো নয়। জেলা এবং রাজ্য জুড়ে এমন বিভিন্ন সংস্থায় রয়েছে, যারা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। কেউ ব্যক্তিগতভাবে, কেউ আবার কোন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের সেবা করছেন। অনেক পশুপ্রেমীও এগিয়ে এসেছেন জীব সেবায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বিগত কয়েক মাসে দেখা গিয়েছে, অনেক মানুষই সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। যেমন দুর্গাপুরের বেনাচিতির এক দম্পতি তাদের বিবাহ বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে, বিভিন্ন অসহায় দুস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিয়েছেন শহরজুড়ে। আবার বেশ কিছু পড়ুয়াদের দেখা গিয়েছে দুস্থ এবং অভাব-অনটনে ভোগা মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে। পাশপাশি, দুর্গাপুরের বেশ কয়েকজন যুবক নিজ উদ্যোগে দুস্থ ভবঘুরের প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অন্যদিকে দুর্গাপুরে কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন যুবক, ভাইরাল হওয়ার নেশায়, একটি বিড়াল ছানাকে ৩০ ফুট উপর থেকে ছুড়ে ফেলে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার সামনে আসতেই, ওই যুবকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসেন পশুপ্রেমী সংগঠনের এক সদস্য। জেলার অনেক জায়গায় প্রতিদিন পথকুকুরদের খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন অনেক পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও।

advertisement

প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে আশার আলো সংস্থার সদস্যরা বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছেন। বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে রক্তদান, লকডাউনের মত কঠিন সময়ে মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া, মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন পদযাত্রা সহ একাধিক কর্মসূচি তাঁরা গ্রহণ করেছেন। কঠিন সময়ে  'আশার আলো' কার্যতই আশার আলো হয়ে দাঁড়ায় আর্তের পাশে।

advertisement

সম্প্রতি পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড়ে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরেকে দেখা যায়। আশার আলো সংস্থার সদস্যরা তাকে দেখতে পেয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। গত কয়েকদিনে ক্ষুদার্থ সেই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন তাঁরা। বুধবার ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। ওই ব্যক্তির জন্য অস্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থাও করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সংস্থার সদস্যরা।

advertisement

আশার আলো সংস্থার সদস্যদের দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি জানিয়েছেন তার নাম রাজু। তারা দুই ভাই। জামনগরে থাকেন তারপর আশার আলো সংস্থার সদস্যরা চেষ্টা করেও ওই ব্যক্তির সম্পর্কে বিশেষ কোনো তথ্য পায়নি। তাই তাঁরা সমাজ মাধ্যম এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যদি কেউ এই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির কোনো তথ্য দিতে পারেন, তাহলে ঘর ফিরে পাবেন ওই ভবঘুরে। তার জন্য সংস্থার কয়েকজন সদস্য নিজেদের ফোন নম্বর দিয়েছেন। রাকেশ 91 6296 125 894, কৌশিক 91 85095 33314, সুমিত 91 6294 480 428,  বিশ্ব  91 77182 29986, শুভজিৎ 9851344086

advertisement

নয়ন ঘোষ

বাংলা খবর/ খবর/Local News/
'শিব জ্ঞানে জীব সেবা' ! 'আশার আলো' দিশা দেখাচ্ছে পশ্চিম বর্ধমানে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল