কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই লাইন দুটো ছোট বেলায় পড়েননি, বাংলার বুকে এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। এবার তাদেরই জীবনচিত্র উঠে আসছে, দুর্গাপুরের(Durga Puja) বিখ্যাত একটি পুজো মণ্ডপে। দুর্গাপুর(দুরগাপুর) মার্কনি দক্ষিণ পল্লীর পুজোর থিম এবার কুমোর পাড়া।
মণ্ডপ (Durga Puja) তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জীবনযুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে পড়া, কুমোর সম্প্রদায়ের মানুষদের আবার পুরোনো জায়গা ফিরিয়ে দিতে, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চাওয়া হয়েছে কুমোর সম্প্রদায়ের মানুষের কারিগরি শিল্প। কুমোর পাড়ার তৈরি বিভিন্ন মাটির জিনিসপত্র দিয়ে সম্পূর্ণ মণ্ডপ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিমাতে থাকছে চমক।
advertisement
দুর্গাপুরের(Durga Puja) বিখ্যাত বড় পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মার্কনী দক্ষিণ পল্লী। প্রতিবছরই ছোট-বড় বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নেয় মার্কনী দক্ষিণ পল্লীর পুজোমণ্ডপ এবং প্রতিমা। করোনাকালেও সেই ধারা বজায় রাখতে চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজোর বাজেটে অবশ্যই কাটছাঁট হয়েছে। তবে তারমধ্যেও, দর্শকদের জন্য সেরা মন্ডপ এবং সেরা প্রতিমা উপহার দিতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। এবছর মার্কনী দক্ষিণ পল্লীর পুজো ৬১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।
ছয় দশক পেরিয়ে(Durga Puja), এই বছর তাদের থিম কুমোর পাড়া। কুমোর পাড়ার তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। অর্থাৎ মাটির তৈরি হাঁড়ি, কলসি সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করা হচ্ছে মন্ডপ তৈরীর কাজে। মন্ডপের মূল অংশ থেকে শুরু করে পারিপার্শ্বিক সাজসজ্জা, সবেতেই কুমোরপাড়ার চালচিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বাঁশের কাঠামোর ওপর, মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে সেজে উঠছে প্যান্ডেল। মন্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন পটচিত্র আঁকা হচ্ছে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উদ্যোক্তার বলছেন, এবছর তাদের পুজোর (Durga Puja)বাজেট আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। এই বাজেটের মধ্যেই তারা পুজো সেরে ফেলতে চান। কোভিডের জন্য সরকার নির্দেশিত যে সমস্ত গাইডলাইন রয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়গুলি পুজোমণ্ডপের ক্ষেত্রে মেনে চলা হচ্ছে। কোনভাবেই যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকেও নজর রাখা হবে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই মন্ডপ পরিদর্শন সেরে গিয়েছেন। যাতে উৎসুক দর্শনার্থীরা মন্ডপের সামনে অযথা জমায়েত করতে না পারেন, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার করতে হবে মণ্ডপে ঢোকার ক্ষেত্রে।
সব মিলিয়ে দুর্গাপুর মার্কনি দক্ষিণ পল্লী, শারদোৎসবের শেষ (Durga Puja)মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখে, পুজোর আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুজোর আয়োজকরা। কুমোর পাড়া থিমের মধ্যে দিয়ে দিতে চাইছেন বিশেষ বার্তা।
Nayan Ghosh