দুর্গাপুর একটি পরিকল্পিত শহর। কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের আওতায় নাম রয়েছে দুর্গাপুরের। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজও চলছে। তবে বর্ষায় দুর্গাপুরের হাল বেহাল হয়ে পড়ে। ভারী বর্ষণে শহরের বহু মানুষ জলবন্দি হয়ে ঘরে আটকে পড়েন। বিশেষত দামোদর নদী সংলগ্ন এলাকাগুলি জলের তলায় চলে যায়। দুর্গাপুর ব্যারেজে জল ছাড়লে সেই পরিস্থিতি হয় আরও ভয়াবহ। কোথাও নিকাশি ব্যবস্থা নেই পর্যাপ্ত পরিমাণে। কোথাও আবার নিকাশি নালার সংস্কার হয়নি। যার ফলে বৃষ্টির জল নামার রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে। যে কারণে জল ঢুকে যায় বাড়িতে। অসহায় দিন কাটাতে হয় শহরবাসীকে।
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকাগুলি যেমন রায়ডাঙ্গা, সুভাষপল্লী সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। তাছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বিভিন্ন জায়গা দামোদরের জলে ভাসে। অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ জল ছাড়ার ফলে দামোদরের নিম্ন অববাহিকার জলস্তর বাড়ে। সেই জল ঢুকতে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামে। ইতিমধ্যেই, গত দু'দিনে দেড় লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজে। শুক্রবার রাত থেকে জল ডুকছে বিভিন্ন গ্রামে। প্রচুর পরিমাণ কৃষিজমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। কাঁচা-পাকা বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ। বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে শহর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামে। ফলে একদিকে যেমন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ, ঠিক তেমনভাবেই কৃষিজমি জলের তলায় চলে যাওয়ায়, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক পরিবারগুলি।
শহরবাসীর দাবি, নিকাশি ব্যবস্থাগুলি যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা হোক। যে সমস্ত জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিকাশি ব্যবস্থা নেই, সেখানে নিকাশি নালা তৈরীর ব্যবস্থা করা হোক। নয়তো পরিকল্পিত শহর হয়েও, ভারী বর্ষণে প্লাবিত হতে হবে দুর্গাপুরকে। জলবন্দি হয়ে অসহায়ভাবে দিন কাটাতে হবে, শহরের মানুষজনকে।
Nayan Ghosh