সালানপুর বিধানসভার কল্যা গ্রামপঞ্চায়েতের শিয়াকুলবেড়িয়া গ্রাম। মূলত খনি অঞ্চল এবং অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি। ফলে সেখানে সেচের জল পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। তাই প্রায় বিঘা ১৫ জমি এক দশক ধরে পড়েছিল। হচ্ছিল না কোন চাষাবাদ। বিপুল পরিমাণ পতিত জমিতে চোখ যায় কৃষি দফতরের(Department of Agriculture) । তাছাড়াও স্থানীয় মানুষজনও, ওই জমিগুলিকে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, সেই আবেদন নিয়ে দ্বারস্থ হয় কৃষি দফতরের আধিকারিকদের কাছে।
advertisement
এরপর কৃষি দফতরের (Department of Agriculture) আধিকারিকরা কিছুদিন আগে ওই এলাকার মাটির গুণগত মান পরীক্ষা করেন। তাঁরা দেখেন, মাটি উর্বর। তবে চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সেচের জল না পাওয়ায়, ফসল শুকিয়ে যায়। ফলে বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা করে দফতর।
বর্তমানে পতিত জমিগুলি সবুজে ভরে উঠেছে। সেখানে চাষ হয়েছে উন্নত মানের হাইব্রিড ধান। সেচের জল কম পাওয়ার জন্য, প্রযুক্তির মাধ্যমে পতিত জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ করা হয়েছে। দুই ধরনের উন্নতমানের ধান চাষ করা হয়েছে সেখানে। যেহেতু হাইব্রিড ধান চাষ করতে জলের প্রয়োজন অপেক্ষাকৃত কম হয়, তাই এই সিদ্ধান্ত। কৃষি দপ্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সেখানে আপাতত দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চাষ করেছে। তাছাড়াও ব্লক কৃষি দপ্তর উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে, মাটিকে উর্বর করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সেচ ব্যবস্থাও করছে। আপাতত জমিগুলিতে দুই ধরণের ধানের ফলনই ভালো হয়েছে। অক্টোবরের শেষের দিকে কৃষকরা এই ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও কৃষকরা (Fermers) বাড়তি লাভের মুখ দেখতে পান, তার জন্য কৃষি দপ্তর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। যে জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে, সেই জমিগুলিতেই একসঙ্গে চাষ করা হয়েছে করলা এবং ঝিঙের। জমির মাঝে মাঝে লাগানো হয়েছে ঝিঙে এবং করলার গাছ। জমির উপর তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট মাচা। সেখানে ফলছে এই ফসলগুলি। একই জমিতে, এক সময় দুই রকম ফসল ফলানোর জন্য, কৃষকরা বাড়তি লাভের মুখ দেখতে পাবেন বলে জানিয়েছেন সালানপুর ব্লকের সহ কৃষি-অধিকর্তা রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি দফতরের (Department of Agriculture) এই উদ্যোগে খুশি ওই জমির কৃষকরা। দীর্ঘদিন পতিত জমি আবার সবুজে ভরে ওঠায়, খুশি এলাকার মানুষও।
Nayan Ghosh