বিশেষ করে ডুয়ার্সের প্রাণকেন্দ্র লাটাগুড়ি ও আশপাশের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে এখন পর্যটকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। পুজোর মরশুমের পর দীর্ঘদিন ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্প কার্যত মন্দার মুখে পড়েছিল। পর্যটকের সংখ্যা কম থাকায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন হোটেল, রিসোর্ট ও সাফারি ব্যবসায়ীরা। তার উপর এসআইআর-এর প্রভাব পর্যটন ব্যবসায় আরও ধাক্কা দিয়েছিল। বহু মানুষই বড় লোকসানের মুখে পড়েন। তবে বড়দিন ও নববর্ষকে সামনে রেখে ফের আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
বর্তমানে মূর্তি, লাটাগুড়ি ও রামসাই—এই তিনটি কেন্দ্র থেকে অফলাইনে জঙ্গল সাফারির বুকিং করা যাচ্ছে। অন্যদিকে হাতি সাফারির জন্য অনলাইন বুকিং বাধ্যতামূলক। সম্প্রতি লাটাগুড়ি জঙ্গল সাফারি ও গোরুমারার নজরমিনারগুলিতে পর্যটকদের ভালই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আজও এই কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড়ে ঠাঁসা ছিল এলাকা। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজও রয়েছে। মেদলা, যাত্রাপ্রসাদ, চাপড়ামারি, চন্দ্রচুর, চুকচুকি-সহ রোড চার্জ ও গাইড মিলিয়ে খরচ পড়ছে জনপ্রতি ১২৫০ টাকা। আর ১৩৫০ খরচে এই স্থানগুলির সঙ্গে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ির অভিজ্ঞতাও উপভোগ করা যাচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
লাটাগুড়ির এক পর্যটন ব্যবসায়ীর কথায়, “পর্যটকদের ভিড় বাড়ায় আমাদের ব্যবসাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বড়দিন থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৮০ শতাংশ রিসোর্ট বুকিং সম্পূর্ণ। আশা করছি এই ভিড় আরও বাড়বে।” ডুয়ার্স ফের ছন্দে ফিরছে এই আশাতেই এখন মুখে হাসি পর্যটন ব্যবসায়ীদের।





