২০১১-র আগে শিক্ষারত্ন দেওয়া হত রাজ্যের ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষককে। এগারোর পর থেকে তা পরিবর্তন হয়ে হয় ১০০ জন। এই বছর সেই ১০০ জনের তালিকায় রয়েছেন হুগলির দুই শিক্ষক। প্রথমজন হলেন খনাকুল কুমার চাঁদ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল শেখ গাউস, অন্যজন হলেন হুগলি ব্রাঞ্চ গভমেন্ট স্কুলের সহ-প্রধান শিক্ষক শ্রী শ্যামা কুমার দে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রেমের টানে বাংলাদেশে পাড়ি নাবালিকার! ১১ মাস পরে বাড়ি ফিরল চমকে দেওয়া গল্প নিয়ে...
আরও পড়ুন: সাংঘাতিক! বাড়ি ভাড়া বাকি ছিল দশ লক্ষ টাকা, টাকা না পেয়ে যা করলেন মালিক...
শিক্ষক সমাজ গড়ার কারিগর। ভবিষ্যত সমাজের মেরুদণ্ড তৈরি করার অন্যতম কান্ডারী। বছরের পর বছর যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের কৃতী করে তুলছেন, জীবনের পথে এগিয়ে দিচ্ছেন, সেইসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের সম্মানিত করতেই শিক্ষারত্ন সম্মান-এর আয়োজন। শিক্ষক দিবসের দিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ভার্চুয়ালি সমস্ত শিক্ষকদের হাতে শিক্ষারত্ন উপাধি তুলে দিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষারত্ন উপাধি পেয়ে আনন্দিত দুই শিক্ষক।
খানাকুল কুমার চাঁদ উচ্চ বিদ্যালয়-এর প্রধান শিক্ষক শেখ নজরুল গাউস বলেন, পুরস্কারের জন্য কখনওই তিনি শিক্ষকতা করেননি। শিক্ষকতাকে পেশার থেকে বেশি ব্রত হিসেবে মেনেছেন। তিনি আরও বলেন, ছাত্রছাত্রীরা সমাজের সম্পদ। প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষের মতো মানুষ তৈরি করা একজন শিক্ষকের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। তিনি সর্বদাই ভেদাভেদ মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে পড়ুয়াদের শিক্ষা দিয়ে এসেছেন। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল ছাত্রই যেন একজন ভাল মানুষ তৈরি হয়, তার প্রতি দায়বদ্ধ তিনি। শিক্ষারত্ন সম্মান তাঁর কাছে বাড়তি দায়িত্ব এনে দিয়েছে। তিনি আশাবাদী আগামিতে তিনি এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।
রাহী হালদার