তারাপীঠের রথযাত্রার যে ভিন্নতা রয়েছে তা হলো, এখানে অন্যান্য জায়গার মতো রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলরাম অথবা সুভদ্রা রথে সাওয়ারি করেন না। পরিবর্তে রথে সাওয়ারি করেন তারা মা। তারা মাকে রাজ বেশে সাজিয়ে রথে চাপিয়ে তারাপীঠ পরিক্রমা করানো হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে। পাশাপাশি এই দিনই একমাত্র তারা মা গর্ভগৃহ থেকে বের হয়ে রথে চেপে তারাপীঠ পরিক্রমা করেন। কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরও পূণ্যার্থীদের মন্দিরের বাইরে তারা মাকে দর্শন করার সৌভাগ্য হলো না করোনার কারণে।
advertisement
তবে তারা মাকে তারাপীঠ পরিক্রমা করানো না হলেও রীতি মেনে গর্ভগৃহ থেকে বাইরে আনা হয় এবং রথ ঘরে দাঁড়িয়ে থাকা রথে তাকে চাপানো হয়। সেখানে রীতি মেনে পূজা অর্চনা করাও হয়। অন্যদিকে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্যরা কেবলমাত্র তারা মায়ের ছবি নিয়ে কীর্তন সহকারে তারাপীঠ পরিক্রমা করেন।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখার্জি জানিয়েছেন, \"মন খারাপ হলেও করোনা যাতে নতুন করে সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য ভক্তরা এবং মন্দির কমিটির সদস্যরা হাসিমুখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও রথের চাপিয়ে তারা মাকে ঘোরানো সম্ভব হলো না।\"
প্রসঙ্গত, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিবছর তারা মায়ের এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে তারাপীঠে মেলা বসতো। পার্শ্ববর্তী একাধিক গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হতো সেই মেলায়। এই দিনটিতে জমজমাট থাকতো তারাপীঠ। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা আবহে এই সব হারিয়েছে তারাপীঠ চত্বর। যার ফলে চেনা তারাপীঠে তৈরি হয়েছে অচেনা চিত্র।