যদিও করোনার (coronavirus) গ্রাফ কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা ইতিমধ্যেই দেখা দিতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় দুর্গা পুজোতে (Durga puja 2021) কতটা ছাড় দেওয়া হবে তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কিন্তু এসবের মাঝেই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা (Idol Artists) ।
প্রতি বছর পুজোর (Durga puja 2021) আগে এই সময় গুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে থাকে তাদের। কিন্তু এবছর লকডাউন ও করোনার (coronavirus third wave) তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় অনেকটাই মন্দা বাজার। অন্যান্য বছরের মতো এ বছর অর্ডার মেলেনি ঠাকুর গড়ার। তাই অল্প কিছু সংখ্যক প্রতিমা তৈরি করে লোকসান গুনছেন মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
একদিকে, পুজো (Durga puja 2021) কমিটি গুলির বাজেটে কাটছাঁট অন্যদিকে খড়, বাঁশ, রং ও ঠাকুরের সাজসজ্জার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে আর্থিক সংকটে মৃৎশিল্প। রায়দিঘি থানা অন্তর্গত কাছারির মোড়ে হালদার পাড়ার বাসিন্দা বছর ৪৫ এর মৃৎশিল্পী গোকুল দাস। দুই ভাই মিলে মৃৎশিল্পালয় টি চালিয়ে যাচ্ছেন ছয় জন শ্রমিকে নিয়ে।
বিগত বছরগুলোতে, তাদের তৈরি প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে দূর-দূরান্তে বিভিন্ন জায়গার পূজা মণ্ডপ (Durga puja 2021)গুলোতে। এলাকার সাধারণ মানুষের কথায়, 'যে কয়েকজন হাতেগোনা মৃৎশিল্পী এলাকায় রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম এই বিমলা আট শিল্পালয়।'
ছোটবেলা থেকেই গোকুল বাবু তার বাবা ক্ষুদিরাম দাস এর কাছে মূর্তি গড়ার শিক্ষা পান। নানা মডেল ও মূর্তি তৈরি নিয়ে আগ্রহও ছিল তাঁর। পরবর্তী সময়ে বাবা গত হলে, তিনি এই শিল্পালয় এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দাদাকে সাহায্য করতে মেজ ভাইও এই মৃৎশিল্পের (Durga puja 2021)কাজে যুক্ত হন। যদিও, বর্তমানে গোকুল বাবু ডায়মন্ডহারবার এসডিও অফিসে কর্মরত। অফিস সামলে অবসর সময়ে ঠাকুর গড়ার কাজে করে থাকেন তিনি।
এই মৃত শিল্পালয়ে কাজ করেন ছয় জন শিল্পী। তবে এ বছর তেমন ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বললেই চলে। ফলে একপ্রকার বসিয়েই পারিশ্রমিক দিতে হচ্ছে শিল্পীদের(Durga puja 2021)। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এই শিল্প কর্ম আগামীদিনে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না শিল্পী গোকুল দাস।
তিনি জানান, 'করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে প্রতিমা গড়ার (Durga puja 2021)অর্ডার প্রায় নেই বললেই চলে। যে কটা হাতেগোনা প্রতিমা করা হয়েছে তা দিয়েই যেটুকু আয় হয় তা দিয়ে চালাতে হবে। কর্মীদের মাইনে দিতে অনেকটা টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে একপ্রকার লোকসানের মধ্যে দিয়েই চলছে এই শিল্পালয়।' কবে পরিবর্তন হবে এই অবস্থার, সেই আশাতেই দিন গুনছেন মৃৎশিল্পীরা।
রুদ্র নারায়ন রায়