স্টুডেন্টস সোসাইটি অফ শিলিগুড়ি নামক এই সংগঠন অন্যান্য সংস্থাগুলির থেকে একটু আলাদা। একটু অন্যরকম। শিশুদের পড়াশোনা থেকে নারীদের ঋতুস্রাবের সময়ে দরকারী প্যাড, সবকিছুই পৌঁছে দিতে উদ্যোগী সৌম্যদীপ, শিব শঙ্কররা। ওদের স্কুল বন্ধ, তবে পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজ রীতিমতো নজর কাড়ছে শহরবাসীর। আর এতেই অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিজেদের সাধ্যমতো।
advertisement
তবে ওরাও তো ছোট! সবদিক একা হাতে সামলানো হয়ে ওঠে না। তাই পৌঁছে গিয়েছিল অচিন ঘোষ নামক এক স্বেচ্ছাসেবকের কাছে। অচিনবাবু ওদের উৎসাহ দেখে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, 'ওদের পাশে আমি আছি। যতোটা পারব আমি নিজের সাধ্যমতো ওদের পাশে থেকে সাহায্য করব। শুধুমাত্র বিনামূল্যে টিউশন না, অনেক কাজ করেছে ওরা। এই সময়ে সবার অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমি যখন কলকাতায় ছিলাম, তখন ফোনেই এসব আলোচনা হয়। তারপর আমি এসে ওদের কাজ স্বচক্ষে দেখি। ওদের এভাবে অসহায়দের জন্য কাজ করতে দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।'
শিব শঙ্কর সাহা চৌধুরী, সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এক পড়ুয়া শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র। সে জানায়, এটাই তাদের প্রথম বিনামূল্যে টিউশনের কর্মসূচি। তবে এরপর চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় পৌঁছে যাবে তাদের এই দল। সবার মাথার উপর থাকবে শিক্ষার আলো। সবাই করবে পড়াশোনা। এই বার্তা নিয়েই রোজ নতুন উদ্যোগ নিয়ে শহরের কোণায় কোণায় হাজির হচ্ছে এই 'শিক্ষার পথে হাটানো' পড়ুয়ার দল।
ভাস্কর চক্রবর্তী