এদিন ছাত্রনেতা বিষ্ণু পাল বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এই সময়ে গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেকেরই কর্মসংস্থান নেই। এই সময়ে এত টাকা ফি দেওয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা এই দাবি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটেশন জমা দিলাম।'
সংগঠনের আরেক সদস্য জয়শ্রীরাম সরকার বলেন, 'লকডাউনে অনেক পরিবারই কাজ হারিয়েছে। সেখানে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কোনও যুদ্ধের চাইতে কম কিছু নয়। সেই মুহূর্তে এনরোলমেন্ট ফি-এর নামে যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধেই এদিন আমরা সংঘবদ্ধ হই।' তিনি আরও বলেন, 'নন-ল্যাব বাবদ ৪৫০ টাকা, ল্যাব বেসড্ অনার্সে ৭৩০ টাকা, ল্যাব বেসড্ নন অনার্সে ৭০০ টাকা, ল্যাব বেসড্ কিন্তু প্র্যাক্টিক্যাল নেই বাবদ ৬০০ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। এই টাকাদিতে অনেক ছাত্রছাত্রীকেঅসুবিধার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।'
advertisement
এদিকে, অফলাইনে কোনও পরীক্ষা হচ্ছে না, সবটাই অনলাইন এখন। অভিযোগ খাতাপত্রটুকুও কলেজ থেকে অনেকে পায়নি। যেখানে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিন্দুমাত্র খরচ নেই, সেখানে এতো টাকা ফি বাবদ নেওয়া কি উচিৎ? প্রশ্ন ছাত্রনেতা জয়শ্রীরাম সরকারের।
অপরদিকে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রণব ঘোষ বলেন, 'এই বিষয়টি শুধুমাত্র তাঁদের হাতে নেই প্রত্যেকটি কলেজের সঙ্গে বৈঠক করে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। কলেজ যদি চায় তবেই ফি মুকুব হবে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ যখন এল আমরা অবশ্যই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে যত জলদি সম্ভব সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।'
ভাস্কর চক্রবর্তী