কখনও যমরাজ, কখনও রিক্সা চালক। আবার কখনও সমাজকর্মী। তবে পেশায় তিনি পুলিশকর্মী। তিনি বাপন দাস। অভিনব নানান উদ্যোগ অহরহ বাপনবাবু নিয়েই থাকেন। কলকাতায় হাসপাতালের সদর দরজা হোক কিংবা শিলিগুড়ি এনজেপি রেলওয়ে স্টেশন; মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলি থেকে সচেতনতা কোনও কিছুতেই পিছিয়ে নেই বাপনবাবু। সম্প্রতি ছুটিতে ফিরেছেন বাড়ি, কিন্তু তাতেও যে শান্তি নেই এই পুলিশকর্মীর। দৃষ্টিহীন দম্পতির বিবাহ সাহায্যে রাস্তায় নামা থেকে গ্রীষ্মকালীন রক্তসংকট মেটাতে রক্তদান শিবির; আয়োজক একজনই বাপন দাস।
advertisement
এদিনের কর্মসূচি শেষে বাপনবাবু বলেন, \'আজ রথযাত্রা। বাঙালির অন্যতম উৎসব। কিন্তু করোনার থাবায় রথের দড়িতে পড়বে না টান। তাই যাঁরা প্রতিদিন রথ বায়, তাঁদের টেনে আজ রথযাত্রা পালন করার চেষ্টা করি। শিলিগুড়ির শিশু পার্কের সামনে রিক্সায় রিক্সাচালকদের বসিয়ে রিপন, রিন্টু, রাজেশ ও মিন্টুদের নিয়ে রিক্সা চালাই। সেইসঙ্গে তাঁদের হাতে তুলে দেই কয়েকদিনের শুকনো খাবার।\' বাপনবাবু আরও বলেন, \'সারাবছর তাঁরা রিক্সা চালাচ্ছে আজ একটু তাঁদের নিজ রিক্সায় বসিয়ে টেনে নিলাম। আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করলাম রিক্সা টেনে।\'
এদিকে রিক্সাচালক আনন্দ বর্মন, রাজু মিয়া, বিকাশ দাসের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে আনন্দের ছাপ। তাঁরা জানালেন, জীবনে প্রথম আমাদের রিক্সা বসিয়ে রিক্সা টানলো।
তবে বাপনবাবুর পাশে এদিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় স্টুডেন্ট সোসাইটি অফ শিলিগুড়ি। সংগঠনের কর্ণধার সৌম্যদীপ বলেন, \'বাপন দাস মানেই নতুন নতুন ভাবনা, প্রতিদিন দাদার কাছে নতুন কাজ শিখছি আমরা।\'