করোনাকালে অনলাইনই একমাত্র ভরসা সবক্ষেত্রে (Online competition for COVID19) । তা ক্লাস হোক বা পাঠদান কিংবা প্রতিযোগিতা। সবটারই একমাত্র পথ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এবার সেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে ১৯ অগাস্ট কানাডার 'কোর ইনস্টিটিউট অফ মিউজিক' (Core Institute of Music) একটি আন্তর্জাতিক সঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। আমেরিকা, বিট্রেন, ইতালি, জার্মানি, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান-সহ বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাছাই করে ৬০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। সেখানে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির অন্যতম বিশিষ্ট তবলাবাদক সুবীর অধিকারীর মোট ১৩ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে (Smallest contestant)। তারমধ্যে শিলিগুড়ির দেশবন্ধুপাড়ার প্রিয়াংশু নন্দী, অশোকনগরের ঋজু সাহা ও হাকিমপাড়ার ছয় বছরের সুহান অধিকারী সেরা দশে নিজের নাম অলংকৃত করে দেখাল।
advertisement
এই প্রতিযোগিতার সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী হল সুহান অধিকারী। যার বয়স হল ছয় বছর। ভীষণ খুশি সে। নিউজ ১৮ লোকালকে বলে, 'দাদুকে (পড়ুন স্বর্গীয় বেণু অধিকারীকে) মনে পরছে।' অন্যদিকে, শিলিগুড়ি দেশবন্ধুপাড়ার প্রিয়াংশু নন্দী বলে, 'আমি এই সাফল্য আশা করিনি। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রাপ্তিতে ভীষণ ভালো লাগছে। মা-বাবা গুরুজী সুবীর অধিকারী ও বড় গুরুজী বেণু অধিকারীকে ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা জানাই।' একই সুর শোনা গেল অশোকনগরের ঋজু সাহার গলাতেও। ঋজু বলেন, 'এই সাফল্য মা-বাবার সেইসঙ্গে গুরুজীর আর্শীবাদ ছাড়া সম্ভব হত না। আমরা কৃতজ্ঞ ওনাদের কাছে।'
আয়োজক সূত্রে খবর, এই প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে ছিলেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, ফজল কুরেশি, রুপক কুলকর্নির মতো তবলার অন্যতম দিগ্গজরা। আন্তর্জাতিক স্তরে শিলিগুড়ির নাম উজ্জ্বল করা এই তিন রত্নের শিক্ষকও আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা তবলা বাদক সুবীর অধিকারী। তিনি বলেন, 'খুব ভালো লাগছে। এই সাফল্য ওদের প্রথম নয়। এর আগেও অনেক সাফল্য ও স্বীকৃতি ওদের ঝুলিতে এসেছে। তবে আন্তর্জাতিক স্তরে এই প্রাপ্তি ওদের কাছে অন্য মাত্রা বহন করে।' তিনি আরও বলেন, '৩ থেকে ৮ বছর 'ক-বিভাগে', ৯ থেকে ১৫ বছর 'খ-বিভাগে', ১৬ থেকে ২২ বছর 'গ-বিভাগে' এবং ২৩ বছরের উর্ধ্বে 'ঘ-বিভাগে' করে প্রতিযোগীদের মোট চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছিল। সেখানে গ-বিভাগে প্রিয়াংশু নন্দী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। সেরা দশে জায়গা করে নেয় ঋজু সাহা ও সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী সুহান অধিকারী।'
ভাস্কর চক্রবর্তী