পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে যে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে গোটা শহরবাসী তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রাক্তন মেয়র তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান অশোক নারায়ণ ভট্টাচার্য নিউজ ১৮ লোকালকে বলেন, 'শহর শিলিগুড়িতে পানীয় জলের ঘাটতি আছেই। শহরের পরিসর ও ব্যাপ্তি অনুযায়ী পানীয় জলের সরবরাহ নেই। সেজন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা মেটানোর জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলাম রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সেদিকে নজর দিতে চাননি। ৭দিনের বেশি হয়ে গেল অথচ বর্তমান বোর্ড শহরের জল সমস্যা নিয়ে কী ঘুমোচ্ছেন?' তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'বর্তমানে শিলিগুড়ি পুরনিগম যে বোর্ড চালাচ্ছে তারা আমার সময় জল সমস্যা হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, কর্পোরেশনের ভেতরে হইচই করত। এমনকি আমাকে শারীরিক হেনস্থা করতেও ছাড়েনি। কই গত কয়েকদিন ধরে শিলিগুড়ি জুড়ে জল সমস্যা তাঁদের ভূমিকা কী?'
advertisement
তবে এই সমস্যার সমাধানসূত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে অশোকবাবু বলেন, 'জল না থাকার জন্য আমাদের সময়ে আমরা অগ্রীম জানিয়ে দিতাম। বর্তমান বোর্ডের উচিত ছিল জলের ট্যাঙ্কগুলি তৈরি রাখা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে দু'সময় করে জল সরবরাহ করা। যা করতে ব্যর্থ এই বোর্ড।'
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, 'যেখান থেকে জল তোলা হয় সেখানে পলি জমে যাওয়ায় এই সমস্যা। পাশাপাশি যান্ত্রিক সমস্যার জন্য কয়েকদিন থেকে শিলিগুড়ি শহরে জল সরবরাহে বিঘ্নিত। ফুলবাড়ি জল প্রকল্প থেকে বৃহত্তর শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জল সংগ্রহ করা হলেও আগে পুরনিগমের বোর্ডে যারা ছিলেন তাঁরা যন্ত্রাংশ মেরামত ও পলি সরানোর ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ নেয়নি। ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা কর্মীরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন।দু'দিনের মধ্যে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।' গৌতমবাবু আরও বলেন, 'শিলিগুড়ি শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য গজলডোবা মেগা জল প্রকল্প করা হবে। তার জন্য ৪৭০ কোটি টাকার প্রকল্প সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে। তখন শহরজুড়ে পানীয় জলের ঘাটতি আর থাকবে না।'
ভাস্কর চক্রবর্তী